• পরিযায়ী-প্রশ্নে বিতর্ক, পাল্টা দাবি শাসকেরও
    আনন্দবাজার | ২১ আগস্ট ২০২৫
  • রাজ্যে ফিরে এলে পরিযায়ী শ্রমিকদের মাসে পাঁচ হাজার টাকা ভাতা দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত ঘিরে বিতর্ক ও চাপানউতোর অব্যাহত। সরকারের উদ্দেশে নানা প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। পাল্টা শাসক দলের দাবি, সরকার সব ব্যবস্থা করেই এগোচ্ছে।

    রাজ্য সরকারের ‘কর্মসাথী’ প্রকল্পের পোর্টালে নথিভুক্তির হিসেবে বাংলা থেকে ভিন্ রাজ্যে রাজ করতে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা ২২ লক্ষ ৪০ হাজার। কিন্তু কয়েক বছর আগে কোভিড-কালে অন্যান্য রাজ্য থেকে ৪০ লক্ষের বেশি পরিযায়ী শ্রমিক বাংলায় ফেরত এসেছেন বলে জানানো হয়েছিল রাজ্য সরকারের তরফেই। সেই তথ্য হাতিয়ার করে এখন বিরোধীদের প্রশ্ন, পরিযায়ী শ্রমিকদের সংখ্যা বাস্তবে ঠিক কত, তার কোনও সমীক্ষা কি হয়েছে? ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে আরএসপি-র রাজ্য সম্পাদক তপন হোড়ের প্রশ্ন, ‘‘করোনার সময় থেকে শিক্ষা নিয়ে বিগত প্রায় পাঁচ বছরে পরিযায়ী শ্রমিকদের স্বার্থে কোনও পদক্ষেপ রাজ্য সরকার নেয়নি কেন? এখন হঠাৎ বিধানসভার ভোটের ঠিক প্রাক্- মুহূর্তে এই সিদ্ধান্ত কেন? করোনা-কালে পরিযায়ী শ্রমিকদের যন্ত্রণা দেখে তা থেকে তাঁদের মুক্ত করার জন্য এই রকমই একটি পোর্টাল চালু করেও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল কেন?’’ রাজ্য সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে কি না, সে দিকে নজর রাখার জন্য প্রতি ব্লকে সব দলের শ্রমিক, কৃষক ও খেতমজুর সংগঠনের প্রতিনিধি নিয়ে পর্যবেক্ষণ কমিটি গড়ার দাবিও তুলেছে আরএসপি।

    এসইউসি-র শ্রমিক সংগঠন এআইইউটিইউসি-র রাজ্য সম্পাদক অশোক দাসের দাবি, ভাষা-ধর্ম নির্বিশেষে যে কোনও ভারতীয় নাগরিকের যে কোনও রাজ্যে কাজ করার অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে এবং সেই সঙ্গে ‘ইন্টার স্টেট মাইগ্র্যান্ট ওয়ার্কমেন অ্যাক্ট ১৯৭৯’ অনুযায়ী সব ঠিকাদার ও সরকারকে পরিযায়ী শ্রমিকদের সব রকম সুবিধা দিতে হবে। শাসক দলের তরফে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ অবশ্য বলেছেন, ‘‘সরকার পরিষ্কার বলেছে, পরিযায়ীরা আবেদন করলেই সরকার তা বিবেচনা করবে। হিসেব রাখার দায়িত্ব বিরোধীরা কেন নিচ্ছেন? সরকার সব ব্যবস্থা করেই এগোচ্ছে।’’
  • Link to this news (আনন্দবাজার)