• ফর্ম ফিল আপের জন্য অতিরিক্ত ৭ দিন বরাদ্দ, পিছোচ্ছে SSC পরীক্ষা? বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
    এই সময় | ২১ আগস্ট ২০২৫
  • স্নাতকে ৪৫ শতাংশ নম্বর পাওয়া চাকরিরত শিক্ষকদের (২০১৬ সালের নিয়োগ প্যানেলে যাঁরা ছিলেন এবং যাঁরা দাগি নন) নতুন নিয়োগ পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হোক, এই আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কয়েকজন আবেদনকারী। সেই আবেদনে বৃহস্পতিবার সাড়া দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তাঁদের ফর্ম ফিল আপ করার জন্য অতিরিক্ত সাত দিন সময় দেওয়া হয়েছে। নিয়োগের পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হবে কি না, তা স্থির করবে কমিশন, জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ৩১ অক্টোবরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের জবাব তলব করেছে সুপ্রিম কোর্ট। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, নিয়োগ পরীক্ষা কি পিছিয়ে দেবে এসএসসি?

    বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে চাকরিহারা ‘যোগ্য’ শিক্ষকদের একটি স্পেশাল লিভ পিটিশনের শুনানি হয় বিচারপতি সঞ্জয় কুমার ও বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার বেঞ্চে। ২০১৬ সালের এসএসসি পরীক্ষায় আনটেন্টেড সাধারণ ক্যাটিগরির পরীক্ষার্থীদের একাংশ স্নাতকে ৪৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে বিএড প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন এবং চাকরি পেয়েছিলেন।

    কিন্তু ২০২৫ সালের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে স্কুল শিক্ষা দপ্তর জানিয়েছিল, স্নাতকে ৫০ শতাংশ নম্বর না থাকলে এবং বিএড ডিগ্রি না থাকলে তাঁরা পরীক্ষায় বসার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন না। এর পরেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন একাধিক স্কুল শিক্ষক।

    শুধু তাই নয়, টেন্টেড নন এমন শিক্ষকরা আর্জি জানিয়েছিলেন, পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার। তাঁদের যুক্তি ছিল, তাঁদের নিয়মিত স্কুলে যেতে হচ্ছে। ক্লাস নেওয়া থেকে শুরু করে পরীক্ষা নেওয়া, খাতা দেখা সবই করতে হচ্ছে। ফলে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে না তাঁদের। আর এই আবেদনগুলির প্রেক্ষিতেই নতুন নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

    যদিও এ দিন বিচারপতি সঞ্জয় কুমার পর্যবেক্ষণে জানান, একবার পরীক্ষায় পাশ করেছিলেন বলে এই শিক্ষকদের বাড়তি সুবিধে দিতে হবে, তা কোন আইনে বলা হয়েছে? কাউকে অতিরিক্ত ছাড় দেওয়া হবে না। যাঁরা এখন কাজ করছেন, তাঁদের সকলকে পরীক্ষায় বসতে হবে। তাঁদের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চাকরির সুযোগ দেওয়া হয়েছে, কারণ তাঁরা অযোগ্য নন। এর পরেও তাঁরা কী ভাবে বাড়তি ছাড় চাইছেন? আদালতকে গুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন না।

    অন্যদিকে, মামলাকারীর আইনজীবী আদালতে বলেন, ‘রাজ্য সরকার আবার অযোগ্য ব্যক্তিদের চাকরিতে নিয়োগ করার চেষ্টা করছে।’

    বিচারপতি সঞ্জয় কুমার বলেন, ‘রাজ্য সরকারের অভিপ্রায় ঠিক নয়। আপনারা নিজেদের অযোগ্য ‘ব্লু আইড’ প্রার্থীদের ঢোকানোর চেষ্টা করছেন। এটা শকিং। আপনারা আবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন কী ভাবে?’

  • Link to this news (এই সময়)