• পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়িতে সরকারি আধিকারিকরা, শুরু 'শ্রমশ্রী' প্রকল্পের কাজ! পোর্টাল চালু হলেই..
    ২৪ ঘন্টা | ২১ আগস্ট ২০২৫
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ভিনরাজ্য়ে কাজ করতে গিয়ে 'হেনস্থা'। পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ কার্য়কর করতে এবার শ্রম দফতর।  আজ, বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হচ্ছে 'শ্রমশ্রী' প্রকল্পের কাজ।

    পুরো প্রক্রিয়াটা হবে অনলাইনে। একটি পোর্টালের মাধ্য়মে ভিন রাজ্য় থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের আনা হবে 'শ্রমশ্রী' প্রকল্পের আওতায়। সেই পোর্টাল চালু হতে অবশ্য চালু হতে অবশ্য এখনও কয়েকদিন সময় লাগবে। কিন্তু চুপ করে বসে থাকতে রাজি নয় শ্রম দফতর। শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক জানিয়েছেন, পোর্টাল চালু হলে পরিযায়ী শ্রমিকদের  যুক্ত করার কাজ শুরু হবে। কিন্তু যাঁরা ইতিমধ্য়েই ভিনরাজ্য় থেকে ফিরেছেন, তাঁদের কাছ দিয়ে অনলাইনে নাম নথিভুক্ত করার কাজ শুরু হচ্ছে।

    জেলায় জেলায় ক্য়াম্প করছেন শ্রম দফতরের আধিকারিকরা।  মালদা, মুর্শিদাবাদ ও উত্তর দিনাজপুরের বহু পরিযায়ী শ্রমিকই এখন বাড়িতে।  বৃহস্পতিবার থেকেই তাঁদের বাড়ি গিয়ে নাম নথিভুক্ত করা হবে। 

    বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য পুর্নবাসন প্রকল্প ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। নাম, 'শ্রমশ্রী'। রাজ্যে ফিরে আসার পর, এই প্রকল্পে পরিযায়ী শ্রমিকদের মাসে ৫ হাজার টাকা করে ভাতা দেব সরকার। মমতা জানিয়েছেন, 'বাংলায় ফিরে আসার পর প্রথম ১ বছর প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা করে পুনর্বাসন ভাতা পাবেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পাবেন। কারও পাকা বাড়ি না থাকলে আবাস যোজনায় অনুদান পাবেন। ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনার জন্য সরকারি সহায়তা দেওয়া হবে। তা ছাড়া অন্যান্য সামাজিক নিরাপত্তা প্রকল্পেও অন্তর্ভুক্ত করা হবে তাঁদের'।

    মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, 'বিভিন্ন রাজ্যে য়েখানে ডাবল ইঞ্জিন সরকার আছে, সেখানে বাংলা ভাষা, বাঙালি পরিচয় দেখে পরিকল্পিতভাবে আক্রমণ চালানো হচ্ছে। বাংলায় কথা বললেই অপরাধী হিসেহে চিহ্নিত করা হচ্ছে।  কোথাও বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে, কোথাও জেলে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। থানায় নিয়ে গিয়ে হেনস্থা করা হচ্ছে। বাংলা ভাষায় কথা  বলার জন্য এখনও পর্যন্ত হেনস্থার শিকার হয়েছে বাইশ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক ও তাঁদের পরিবার'।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)