দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: নাবালিকা প্রেমিকার নিথর দেহের পাশে বসে প্রেমিক। খুনের অভিযোগে উত্তপ্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুরে। মৃতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে পলাতক অভিযুক্ত। এদিকে নাবালিকার দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।
জানা গিয়েছে, মৃতার নাম সায়ন্তিকা মণ্ডল। বয়স ১৭ বছর। একাদশ শ্রেণির ছাত্রী সে। সূত্রের খবর, এলাকারই বাসিন্দা কৃষ দাসের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল তার। তবে কৃষের বিরুদ্ধে একাধিক আপত্তিকর কাজের অভিযোগ ছিল। যুবকের বাড়িতে প্রতিবেশীরা বহুবার তা নিয়ে অভিযোগ করলেও কোনও লাভ হয়নি। জানা যাচ্ছে, বুধবার বিকেলে ফোনে কথা বলছিল সায়ন্তিকা ও কৃষ। সেইসময় বাড়িতে একাই ছিল নাবালিকা। আচমকা নাকি সে মাকে মেসেজ করে সোশাল মিডিয়ার পাসওয়ার্ড পাঠায়। এর কিছুক্ষণ পর এক প্রতিবেশী মহিলা সায়ন্তিকাকে ঘরে বিছানায় শোয়ানো অবস্থায় দেখতে পান। তার পাশেই বসে ছিল কৃ্ষ। এরপরেই গোটা ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। জানা যায়, নাবালিকার মৃত্যু হয়েছে।
অভিযোগ, প্রেমিকাকে খুন করেছে কৃষই। এদিকে কৃ্ষের বাবার কথায়, “আমার ছেলে যদি দোষী হয়, তাহলে ও উপযুক্ত শাস্তি পাক।” ইতিমধ্যে মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। নরেন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে সায়ন্তিকার পরিবার। পুলিশ সূত্রে খবর, কৃ্ষকে খুঁজে বের করতে তল্লাশি চলছে এবং ঘটনার তদন্ত জোরকদমে শুরু হয়েছে। এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় শোকস্তব্ধ সায়ন্তিকার পরিবার ও প্রতিবেশীরা। তাদের দাবি, কৃ্ষ দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি করছিল, এবার যেন তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়।