কাকদ্বীপে ভুয়ো ভোটার কার্ড, নির্বাচন কমিশনের কাছে রিপোর্ট তলব করল হাইকোর্ট
হিন্দুস্তান টাইমস | ২১ আগস্ট ২০২৫
দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ মহকুমায় ভুয়ো ভোটার কার্ড তৈরির অভিযোগ সংক্রান্ত মামলা গড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলায় জন্ম ও মৃত্যুর শংসাপত্র জালিয়াতি করে ভোটার তালিকায় নাম তোলার অভিযোগ ঘিরে বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্বাচন কমিশনের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর কমিশনকে জানাতে হবে, এই ঘটনায় কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
কাকদ্বীপের অ্যাসিস্ট্যান্ট সিস্টেম ম্যানেজার, যাঁকে এর আগে বরখাস্ত করা হয়েছিল, তিনিই আদালতে বিস্ফোরক অভিযোগ আনেন। তাঁর দাবি, দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাঠানখালি গ্রাম পঞ্চায়েতে অনলাইনে বিপুল সংখ্যক ভুয়ো জন্ম ও মৃত্যুর শংসাপত্র তৈরি হয়েছে। অভিযোগকারীর আইনজীবীর বক্তব্য, একা সেই গ্রাম পঞ্চায়েত থেকেই অনলাইনে ৩৫৫৮টি জন্মের শংসাপত্র এবং ৫৫৮টি মৃত্যুর শংসাপত্র জারি হয়েছে বেআইনিভাবে। আরও অভিযোগ, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে আসা ব্যক্তিদের নাগরিকত্ব পাইয়ে দিতেই এই পুরো জালিয়াতি করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী আদালতে জানান, ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে প্রাথমিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, অভিযোগগুলি রাজ্যের স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন প্রক্রিয়ার সময় খতিয়ে দেখা হবে। এর অংশ হিসেবেই বুথ লেভেল এজেন্টদের নাম চাওয়া হয়েছে। কমিশনের তরফে আরও দাবি করা হয়, যিনি অভিযোগ তুলেছেন তাঁর বিরুদ্ধেও শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ রয়েছে। ওই কর্মী নাকি এক আধিকারিকের কম্পিউটার লগইন আইডি বদলানোর চেষ্টা করেছিলেন। ফলে তাঁর উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। একইসঙ্গে কমিশনের পক্ষ থেকে আদালতকে জানানো হয়, এই মামলা কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে দায়ের হয়নি। সব কিছু শোনার পর বিচারপতি অমৃতা সিনহা স্পষ্ট নির্দেশ দেন, নির্বাচন কমিশনকে লিখিতভাবে জানাতে হবে, এই গুরুতর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আদালতের নির্দিষ্ট সময়সীমা অনুযায়ী, আগামী ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।