• ভোটার লিস্টে এখনও ব্রাত্য বসুর প্রয়াত বাবা, শমীকের দাবি, 'লোকে বলছে ভোটও দিয়েছেন'
    আজ তক | ২২ আগস্ট ২০২৫
  • SIR নিয়ে চর্চা অব্যাহত। বিহারে ইতিমধ্যেই ৬৫ লক্ষ নাম বাদ গিয়েছে। যা নিয়ে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে বিহারের রাজনীতিতে। বিহারের পর বাংলায় কবে হবে এসআইআর, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। সে বিষয়ে খোদ জানিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তাতে করে বিরোধীরা মনে করছে যে সমস্ত ভুয়ো বা মৃত ভোটার রয়েছে, তাদের সকলের নাম বাদ যাবে। আর সেই সংখ্যাটা কোটি চাড়িয়ে যাবে। এদিকে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর দিকে আঙুল তুললেন BJP রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। বুধবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি দাবি করেন, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত‌্য বসুর বাবা বিষ্ণু বসুর নাম মৃত্যুর অনেক বছর পরেও ভোটার তালিকায় রয়ে গিয়েছে। শমীক বলেন, 'আমাদের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত‌্য বসুর বাবা মারা গিয়েছেন। তাঁরও নাম এখনও ভোটার লিস্টে আছে। তিনি ভোট দিতে এসেছিলেন কি না জানা নেই। কিন্তু লোকে বলছেন তিনিও ভোট দিয়ে গিয়েছেন।'

    তৃণমূলকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, 'তৃণমূল নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। নির্বাচন কমিশন ২০১১, ২০১৪, ২০১৬, ২০১৯ ও ২০২৪ সালে ঠিক ছিল। কিন্তু আজকে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে তৃণমূল জিহাদ ঘোষণা করেছে। বিল পাশের কথা বলছেন? গায়ের জোরে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় যেভাবে বিল পাস হয়, এরকম আমরা যে কোনও সময়ে করাতে পারি। সংখ্যাই শেষ কথা। তা আমরা করাতে চাই না। আমরা চাই সহমতের ভিত্তিতে সংসদ চলুক।'

    এর আগে বিজেপি নেতা পীযূষ কানোরিয়া দাবি করেন যে শিক্ষামন্ত্রীর বাবা বিষ্ণু বসু ১৯৯৯ সালে মারা গিয়েছেন, কিন্তু তাঁর নাম এখনও ২০২৪-২৫ সালের পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকায় রয়েছে। কানোরিয়া বলেন, 'একদিকে, রাজ্য সরকার দাবি করছে যে একটি স্বচ্ছ ভোটার তালিকা তৈরি করার, অন্যদিকে, ২৫ বছর আগে মারা যাওয়া একজন নাগরিকের নাম এখনও ভোটার তালিকায় রয়েছে। এটি প্রমাণ করে যে ভোটার তালিকা তৈরিতে গাফিলতি রয়েছে। তালিকায় মৃতদের নাম অন্তর্ভুক্ত করার অর্থ হল তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচনে কারচুপি করার সুযোগ তৈরি করা। ভোটার তালিকা থেকে মৃত ব্যক্তিদের নাম বাদ দেওয়ার জন্য SIR প্রয়োজন।'

    বিজেপি নেতার দাবির জবাবে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক এবং মুখপাত্র কুণাল ঘোষ নির্বাচন কমিশনের ঘাড়ে দায় ঠেলে দিয়েছেন। তিনি বলেন, 'ভোটাল তালিকা থেকে নাম মুছে ফেলার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। ব্রাত্য বসুর বাবার নামে কেউ ভোট দেননি। তাঁর বাবা অনেক আগেই মারা গিয়েছেন। নির্বাচন কমিশন সেই নাম মুছে ফেলেনি। এর দায়িত্ব কমিশনের। ব্রাত্য বসুর বাবা এলাকার (দমদম) একজন বিশিষ্ট নাগরিক ছিলেন। কেউ তাঁর নামে ভোট দিতে যাননি। যদি কেউ যেতেন, তাহলে বিরোধী দলের এজেন্টরা ধরে ফেলত।'
  • Link to this news (আজ তক)