• নরেন্দ্রপুরে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু রহস্য, পাড়ার মহিলাদের দেখিয়ে হস্তমৈথুন করত বয়ফ্রেন্ড?
    আজ তক | ২২ আগস্ট ২০২৫
  • ফোনে কথা বলছিল প্রেমিকের সঙ্গে। তারপরেই একাদশ শ্রেণির ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হল। চোখ উল্টে গিয়েছে। মুখে গ্যাঁজলা। ছাত্রীটির নিথর দেহে প্রাণ ফেরানোর চেষ্টা করছিল প্রেমিক। মুখে জল ছেটাচ্ছিল। কিন্তু গোটা ঘটনাটি আপাত ভাবে যতটা সহজ মনে হচ্ছে, ততটা একেবারেই নয়। নরেন্দ্রপুরের চড়কতলা এলাকায় যা ঘটল, তা ঘিরে একাধিক রহস্য দানা বাঁধছে প্রতিবেশীদের দাবি ঘিরে।

    চোখ উল্টে পড়ে রয়েছে সায়ন্তিকার নিথর দেহ

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুরের চড়কতলায় হঠাত্‍ খবর পাওয়া যায়, একাদশ শ্রেণির ছাত্রী সায়ন্তিকা মণ্ডল (১৭) গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। প্রতিবেশীদের বক্তব্য, তাঁরা ঘরে ঢুকে দেখেন, কৃষ দাস নামে সায়ন্তিকার বয়ফ্রেন্ড হাওয়া করছে, পেটে চাপ দিচ্ছে। চোখ উল্টে পড়ে রয়েছে সায়ন্তিকার নিথর দেহ। ঠিক এখানেই সন্দেহ প্রতিবেশীদের।  তাঁদের দাবি, আত্মহত্যা নয়। সায়ন্তিকাকে খুন করে দিয়েছে কৃষ। ঘটনার পর থেকে পলাতক কৃষ নামে ওই ছেলেটিও।

    সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া ও ফোনের পাসওয়ার্ড পাঠিয়ে দেয়

    বুধবার বিকেলে সায়ন্তিকা ও কৃ্ষ ফোনে কথা বলছিল বলে পরিবারের দাবি। ঘটনার কিছুক্ষণ আগে সায়ন্তিকা তার মাকে মেসেজ করে সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া ও ফোনের পাসওয়ার্ড পাঠিয়ে দেয়। তখন বাবা-মা দু’জনেই কাজে বাইরে ছিলেন এবং ছোট বোনও টিউশনে গিয়েছিল। ফলে বাড়িতে কেউ ছিল না। এক প্রতিবেশী মহিলা প্রথম সায়ন্তিকাকে খাটে শোয়ানো অবস্থায় দেখতে পান, তখনই তার পাশেই বসে ছিল কৃ্ষ। এরপরেই গোটা ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।

    সায়ন্তিকার সঙ্গে কয়েকদিন আগেই সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল

    পাড়ার লোকেরা জানাচ্ছেন, কৃষ নামে ছেলেটি একাদশ শ্রেণির পর পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েছে। সায়ন্তিকার সঙ্গে কয়েকদিন আগেই সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। এক প্রতিবেশী মহিলার কথায়, 'দুষ্টু (সায়ন্তিকার ডাক নাম) যদি গলায় দড়ি দিত, তাহলে সেই দড়ি কই? ওতো খাটে শুয়েছিল। মোবাইল মিলেছে খাটের তলায়। আর কৃষ কীভাবে জানল যে এখনই আত্মহত্যা করবে। ওর বাড়ির পাশেই আমার বাড়ি। ছেলেটা প্রায়ই মেয়েটিকে হুমকি দিত। বলত, তোকে খুন করে দেব, মুখে অ্যাসিড ছুড়ে দেব।' 

    মহিলাদের দেখিয়ে হস্তমৈথুন করত কৃষ

    স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, মহিলাদের দেখিয়ে হস্তমৈথুন করার মতো জঘন্য কাজও সে করত। এ নিয়ে বহুবার কৃ্ষের পরিবারের কাছে অভিযোগ জানানো হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি এ নিয়ে বহুবার কৃ্ষের পরিবারের কাছে অভিযোগ জানানো হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এক মহিলার কথায়, 'আমাদের দেখিয়ে ছেলেটা জানলার ধারে হস্তমৈথুন করত। খুব বাজে ছেলে। খুব নোংরা। গালিগালাজ করত সব সময়। '

    এদিকে কৃ্ষের বাবা বলছেন, আমার ছেলে যদি দোষী হয়, তাহলে তার উপযুক্ত শাস্তি হোক। ইতিমধ্যে মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। নরেন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সায়ন্তিকার পরিবার। পুলিশ সূত্রে খবর, কৃ্ষকে খুঁজে বের করতে তল্লাশি চলছে । এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় শোকস্তব্ধ সায়ন্তিকার পরিবার ও প্রতিবেশীরা। তাদের দাবি, কৃ্ষ দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি করছিল, এবার যেন তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়।
  • Link to this news (আজ তক)