শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: শুক্রবার সন্ধ্যা ছটা থেকে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর সম্পূর্ণ পরিসেবা ব্যবহার করতে পারবেন সাধারণ মানুষ। অর্থাৎ হাওড়া ময়দান থেকে এক ট্রেনে চেপে সরাসরি চলে যেতে পারবেন সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত। সিদ্ধান্ত মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের। অন্যদিকে উদ্বোধন হওয়া অন্য দুটি পরিষেবা অর্থাৎ নোয়াপাড়া থেকে বিমানবন্দর ও হেমন্ত মুখার্জী থেকে বেলেঘাটা পর্যন্ত ট্রেন ২৫ অগাস্ট সকাল ৮ টা থেকে সাধারণ যাত্রীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
এই মেট্রো বউবাজার এলাকা দিয়ে তৈরীর সময় একাধিকবার বিপর্যয় ঘটে। আর সেই বিপর্যয়ে যারা গৃহহীন হয়েছিলেন, তারা কি চড়বেন ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোতে? কি তাদের অনুভূতিআগামীকালের উদ্বোধন ঘিরে? ১৯ সালে প্রথমবার বউবাজার এলাকায় বিপর্যয় ঘটে, ৩১ আগস্ট দিনটা ছিল।
তারপর থেকে একাধিকবার বিপর্যয় ঘটেছে এই বউবাজার চত্বরে। মেট্রোর কাজ করার সময় বহু বাড়িতে ফাটল ধরেছে। বহুবাড়ি ধসে গিয়েছে। কিছু কিছু বাড়িতে তৎক্ষণাৎ মেরামতি করে পরিবারের লোকেদের থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু প্রায় ১০৪ টি পরিবারকে সরিয়ে নিয়ে যেতে হয় সেই সময়। তার কারণ তাদের বাড়িগুলো একেবারেই বসবাসযোগ্য ছিল না। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলোর মধ্যে প্রায় ২৫ টা বাড়িকে পুরোপুরি ভেঙে ফেলতে হয়েছে। বাকিগুলো সারিয়ে সেখানে কেউ পাঁচ বছর কেউ ছ বছর পরে ফেরত আসছেন। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৬৭ টা ফ্যামিলিকে তাদের জায়গায় ফেরত আনা যায়নি।
তার কারণ যে ২৫টি বাড়ি পুরোপুরি ভেঙে তৈরি করা হচ্ছে সেই বাড়িগুলির এরা বাসিন্দা ছিলেন। যারা ফিরেছেন বাড়িতে তারা খুশি যে বাড়িতে ফিরতে পেরেছেন। আবার প্রজেক্ট তাও শেষ হচ্ছে। কিন্তু যারা এখনও ফিরতে পারেননি তাদের বক্তব্য, সব হারিয়েছি। উদ্বোধন নিয়ে আর কি বা বলব। মাথায় কিছু আসছে না।
কে এম আর সি এল-এর বক্তব্য, এই ২৫ টা বাড়ির মধ্যে তিনটে বাড়ি তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। বাকি বাড়িগুলোর ক্ষেত্রে সাধারণ পাইলিং করে ভিত তৈরি করে তার ওপর বাড়ি তৈরি হবে। পুরসভার তরফে ইতিমধ্যেই বাড়িগুলো তৈরির ছাড়পত্র মিলেছে যাদের বাড়ি ভাঙার আগে যে অবস্থায় ছিল সেই অবস্থাতেই সেই বাড়িগুলো তৈরি করে দেওয়া হবে এমনটাই সিদ্ধান্ত।