• কলকাতায় আসার পথে চুরি ইনসুলিন ইঞ্জেকশন! চিন্তায় কেন্দ্র ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ড
    প্রতিদিন | ২২ আগস্ট ২০২৫
  • অভিরূপ দাস: মহারাষ্ট্রের নাগপুর থেকে কলকাতা আসার পথে চুরি হয়ে গেল একাধিক বহুমূল‌্য ইঞ্জেকশন! প্রস্তুতকারক সংস্থা নোভো নরডিস্ক নিজেরাই এই চুরির কথা স্বীকার করেছে। এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে, ঘুরপথে এসব ইঞ্জেকশন কালোবাজারে ঢুকছে না তো? তা নিয়ে চিন্তায় কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ডের আধিকারিকরা।

    জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্রের নাগপুর থেকে কলকাতায় আসছিল টাইপ টু ডায়বেটিসে আর মধুমেহ অসুখের এই ইঞ্জেকশনগুলি। মাঝপথে তা চুরি হয়ে যায়। চুরি হয়ে যাওয়া এই ইঞ্জেকশনের মধ্যে রয়েছে ইনসুলিন ইঞ্জেকশন, টাইপ ওয়ান এবং টাইপ টু ডায়েবেটিসের ইঞ্জেকশন ইনসুলিন ডেগলুডেক (ব‌্যাচ নম্বর RT6GY96), ইনসুলিন অ‌্যাসপার্ট (ব‌্যাচ নম্বর RR72648), ইনসুলিন অ‌্যাসপার্ট (ব‌্যাচ নম্বর RP5P640), সেমাগ্লুটাইড ইঞ্জেকশন ০.৫ এমজি (ব‌্যাচ নম্বর RP5S233) এবং সেমাগ্লুটাইড ইঞ্জেকশন ০.২৫ এমজি (ব‌্যাচ নম্বর RP5S232)।

    কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ড জানিয়েছে, প্রতিটি ইঞ্জেকশন একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় রাখতে হয়। তা নইলে কার্যক্ষমতা হারাবে ওষুধগুলি। সূত্রের খবর, এই ইঞ্জেকশনগুলি ২ ডিগ্রি থেকে ৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের মধ্যে রাখা বাঞ্ছনীয়। সেই তাপমাত্রার হেরফের হলে ওষুধগুলির দক্ষতা নষ্ট হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে রোগীকে এই ওষুধ প্রয়োগ করা হলে ফল হতে পারে হিতে বিপরীত। পুলিশ এই চুরির তদন্ত শুরু করেছে।

    পশ্চিমবঙ্গ ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ডকে লেখা চিঠিতে কেন্দ্রের ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ড জানিয়েছে, চুরি হওয়া এই ইঞ্জেকশনগুলির উপর কড়া নজর রাখতে হবে। বাজারে ঘুরপথে এই ইঞ্জেকশন ঢুকছে কিনা সেদিকে নজর রাখতে বলেছে কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ডের আধিকারিকরা। যদি কোনওভাবে এই ইঞ্জেকশন বাজেয়াপ্ত করা যায়, তবে অবিলম্বে ড্রাগস অ‌্যান্ট কসমেটিকস অ‌্যাক্ট ১৯৪০-এর নিয়ম অনুযায়ী ব‌্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ড।
  • Link to this news (প্রতিদিন)