FIR নয়, ভোটার তালিকায় কারচুপির অভিযোগে সাসপেন্ডেড রাজ্যের ৪ নির্বাচনী অফিসার
প্রতিদিন | ২২ আগস্ট ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটার তালিকায় কারচুপির অভিযোগে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার কাজে থাকা চার আধিকারিককে আধিকারিককে সাসপেন্ড করে দিল রাজ্য সরকার। এফআইআর নয়, তাঁদের বিরুদ্ধে চলবে বিভাগীয় তদন্ত। নবান্ন সূত্রে খবর এমনই। এই অফিসারদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার জন্য সময় বেঁধে দিয়েছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবারই সেই সময় শেষ হয়েছে। তার মধ্যেই অবশ্য নবান্নের তরফে ওই চার আধিকারিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সূত্রের খবর, বাকি ২ ডেটা এন্ট্রি অপারেটরকে কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্যজুড়ে চলছে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ। সেই কাজ চলাকালীন দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে দুই জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত চার অফিসারের বিরুদ্ধে। সপ্তাহ দুই আগে দিল্লির নির্বাচন কমিশনের নজরে আসে একটি অভিযোগ। যাতে উল্লেখ করা হয় যে ওই চার আধিকারিক কাজের সময় নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে নিজেদের লগ ইনের বদলে ডেটা এন্ট্রি অপারেটরদের দিয়ে কাজ করিয়েছেন। এহেন অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরুর কথা জানায় জাতীয় নির্বাচন কমিশন। গত ৮ আগস্ট রাজ্যের মুখ্যসচিবকে এই মর্মে নির্দেশ দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী আপত্তি তোলেন। কমিশনের বিরুদ্ধে ‘অতিসক্রিয়তা’র অভিযোগ তুলে তিনি জানিয়েছিলেন, কোনও অফিসারকে শাস্তি পেতে দেবেন না।
কিন্তু রাজ্য ওই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় মুখ্যসচিবকে তলব করা হয় দিল্লিতে। মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ হাজিরা দিয়ে জানান, পদক্ষেপ করতে আরেকটু সময় দেওয়া হোক। ২১ আগস্ট পর্যন্ত সেই সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। শেষদিনই পদক্ষেপ করল নবান্ন। তবে এফআইআর নয়, ময়না ও বারুইপুরে পূর্বের চার আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এই পদক্ষেপের কথা দিল্লিকে জানানো হয়েছে রাজ্যের তরফে।