• পুর চেয়ারম্যানের উদ্দেশে হুমকি পোস্টার মেখলিগঞ্জে
    বর্তমান | ২২ আগস্ট ২০২৫
  • সংবাদদাতা, মেখলিগঞ্জ: হুমকি পোস্টার ঘিরে চাঞ্চল্য মেখলিগঞ্জ পুরসভা এলাকায়। বৃহস্পতিবার সকালে শহরের মদনমোহনবাড়ি সংলগ্ন সীমানা পাঁচিল ও শিশু উদ্যানের পিলারে একাধিক পোস্টার নজরে আসে স্থানীয়দের। পোস্টারগুলিতে লেখা ছিল-‘চেয়ারম্যানের চামড়া তুলে নেব আমরা’, ‘চেয়ারম্যানের কীসের ভয়, এমএলএ তোমার কে হয়’? যদিও পোস্টার কে বা কারা সাঁটিয়েছে, সেটা লেখা ছিল না।

    পোস্টারকাণ্ড প্রকাশ্যে আসতেই মেখলিগঞ্জজুড়ে দিনভর চলে চর্চা। স্থানীয় রাজনৈতিক মহলের মতে, এই ঘটনার পিছনে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলই মূল কারণ হতে পারে। পরে অবশ্য তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা পোস্টারগুলি ছিঁড়ে ফেলেন। এনিয়ে মেখলিগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন পুর চেয়ারম্যান প্রভাত পাটনি। তিনি বলেন, সকালে স্থানীয়রা খবর দেন মদনমোহনবাড়ি চত্বরে আমার এবং বিধায়কের নামে পোস্টার পড়েছে। সরাসরি আমাদের হুমকি দেওয়া হয়েছে। তাই থানায় অভিযোগ করেছি। পুলিস তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে। 

    চেয়ারম্যানের বক্তব্য, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বা দলের গোষ্ঠীকোন্দল এই ঘটনার নেপথ্যে থাকতে পারে। তাঁর কথায়, আমরা বরাবরই উন্নয়নমূলক কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। সেই উন্নয়নে বাধা দিতেই এই ধরনের কাপুরুষোচিত কাজ করা হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত জনগণই উপযুক্ত জবাব দেবে। 

    বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ মেখলিগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী পরেশচন্দ্র অধিকারী। তিনি বলেন, কয়েকটি ছোট পোস্টার পড়েছে। কী লেখা আছে, স্পষ্ট নয়। বিষয়টির কোনও গুরুত্ব নেই।

    এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের কোচবিহার জেলা চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, পোস্টারের ব্যাপারটি জানি না। তবে খোঁজ নিয়ে দেখব। দলেরই কেউ জড়িত কি না, সেটাও খতিয়ে দেখা হবে। অন্যদিকে, মেখলিগঞ্জ শহর তৃণমূল সভাপতি বিষ্ণুপদ ঘোষের মন্তব্য, যারা রাতের অন্ধকারে এ ধরনের কাজ করেন, তাঁদের পিছনে জনসমর্থন নেই। তাঁরা কাপুরুষ ছাড়া আর কিছু নন। 

    মেখলিগঞ্জ থানার পুলিস জানিয়েছে, চেয়ারম্যানের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। কে বা কারা এর সঙ্গে জড়িত, খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। 

     নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)