• মদের বোতল সরিয়ে ক্লাস হয় কাশিবাটি অবৈতনিকে
    বর্তমান | ২২ আগস্ট ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ: রাতে নির্জনতার সুযোগে শহর লাগোয়া কাশিবাটি অবৈতনিক  প্রাইমারি স্কুল ক্যাম্পাসে বসছে নেশার আসর। পরিস্থিতি এতটাই বেগতিক যে, প্রতিদিন স্কুল শুরুর আগে খালি মদের বোতল, গ্লাস, চিপস, বিরিয়ানির প্যাকেট সহ অন্য নেশার সরঞ্জাম পরিষ্কার করতে হয় শিক্ষক, শিক্ষিকা, অঙ্গনওয়া‌ড়ি কর্মীদের। নেশাগ্রস্তদের বাড়বাড়ন্তে কার্যত তিতিবিরক্ত স্কুল কর্তৃপক্ষ থেকে স্থানীয় লোকজন। বুধবার স্কুল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সকলকেই এ ব্যাপারে জানিয়েছে। 

    ১৯৫৯ সালে রায়গঞ্জ শহর ঘেঁষা বড়ুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কাশিবাটি অবৈতনিক প্রাইমারি স্কুলটি তৈরি হয়। সুনামের সঙ্গে এতদিন স্কুলটি চলছে। বর্তমানে স্কুলটির ছাত্রছাত্রী সংখ্যা ৭৩। এই স্কুলের একটি পরিত্যক্ত ক্লাসরুম এবং স্কুলের মাঠে প্রতি রাতে বসছে মদ ও নেশার আসর। মাদকাসক্তরা জলের কল, দরজার কলকবজা ভেঙে দিচ্ছে বলে অভিযোগ। এমনকী মাঠে ও ক্লাসরুমে শৌচকর্ম করে চলে যাচ্ছে।

    জানুয়ারি মাসেও এব্যাপারে স্কুল থেকে অভিযোগ জানানো হয় থানায়। মৌখিকভাবেও প্রাইমারি শিক্ষা সংসদকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। পুলিস সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বিষয়টি জানানোর পর কিছুদিন দৌরাত্ম্য কমলেও অবস্থা ফের এক। কিছুদিন ধরে ফের মদ ও নেশার আসর বসছে স্কুলে। নেশাসক্তদের তাণ্ডবে অতিষ্ঠ স্থানীয়রাও। মাদক কেনার টাকা জোগার করতে অনেকে চুরি, ছিনতাইয়ের রাস্তা বেছে নিচ্ছে। এতে আতঙ্ক বাড়ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।

    স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা আলপনা সাহা শিকদার বলেন, প্রত্যেকদিন ক্লাস শুরুর আগে আমাদের নেশার সামগ্রী, মদের বোতল সরাতে হয়। স্কুলে চারটি ক্লাসরুম থাকলেও গত কয়েকদিন ধরে আমরা মাত্র দু’টি ব্যবহার করতে পারছি। কারণ, নেশগ্রস্তরা ক্লাসরুমে ঢোকার মুখে শৌচকর্ম করে গিয়েছে। এদিনও স্কুলের সদর দরজার সামনে ভাঙা মদের বোতল পড়ে ছিল।

    স্থানীয়রা বলছেন, মাদকাসক্তদের আটকাতে স্কুলের সীমানা প্রাচীর প্রয়োজন। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য সুব্রত সোমও ঘটনার প্রতিবাদে সরব হন। এ ব্যাপারে ডিপিএসসি’র চেয়ারম্যান মহম্মদ নাজিমুদ্দিন আলি বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। স্কুলের তরফে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)