গঙ্গার জলস্তর কমতেই ব্যাপক ভাঙন, আতঙ্ক নিয়েই বাঁধে দুর্গতরা, কাজ নিয়ে ক্ষুব্ধ সাবিত্রী
বর্তমান | ২২ আগস্ট ২০২৫
সংবাদদাতা, মানিকচক: গঙ্গার জলস্তর কমতেই মানিকচকে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। ভূতনিতে নবনির্মিত রিং বাঁধের কেশরপুর, পশ্চিম রতনপুর সহ বিভিন্ন জায়গায় ভাঙন চলছে। আতঙ্ক নিয়ে বাঁধের উপরই কোনওরকমে রয়েছেন দুর্গতরা। বাঁধরক্ষায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছে মালদহ জেলা সেচদপ্তর। অন্যদিকে, মথুরাপুরের শঙ্করটোলায় ভাঙন রোধে নিম্নমানের কাজের অভিযোগ বৃহস্পতিবার খতিয়ে দেখতে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মানিকচকের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র।
তবে,ভূতনিতে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। গঙ্গার জলস্তর বর্তমানে হলুদ সতর্কতার কিছুটা উপরে রয়েছে। গঙ্গা নবনির্মিত রিং বাঁধের গা ঘেঁষে বইছে। জলস্তর কমতেই রিং বাঁধে শুরু হয়েছে ভাঙন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রিং বাঁধের কয়েকটি জায়গায় ভাঙন দেখা দেয়। কেশরপুর, কালুটোনটোলা পশ্চিম রতনপুরে বিভিন্ন জায়গায় ধস নেমেছে। পশ্চিম রতনপুরে বাঁধের একটি জায়গা প্রায় সম্পূর্ণ গঙ্গায় চলে গিয়েছে। বর্তমানে জলস্তর কম থাকায় সেই জায়গায় বালির বস্তার মাধ্যমে জল ঢোকা আটকে রাখা হয়েছে। একইভাবে কেশরপুর ও কালুটনটোলার তিনটি জায়গায় ক্ষতিগ্রস্ত। এনিয়ে আতঙ্কিত বাঁধে আশ্রয় নেওয়া দুর্গতরা।
গৃহবধূ লীলা চৌধুরী বলেন,বাড়িঘর জলের তলায়। অন্য কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই বলে বাঁধের উপরেই থাকছি। যেভাবে ভাঙন হচ্ছে, তাতে রাতের ঘুম ছুটেছে। যেকোনও মুহূর্তে গঙ্গায় তলিয়ে যেতে পারে বাঁধ।
অন্যদিকে, মথুরাপুরের শঙ্করটোলায় ভাঙন রোধের কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় বৃহস্পতিবার খতিয়ে দেখতে আসেন মানিকচকের বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র। মানিকচকের বিডিও অনুপ চক্রবর্তী, মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পিংকি মণ্ডলও ছিলেন তাঁর সঙ্গে। ভাঙন রোধে কাজের মান দেখে ক্ষুব্ধ হন বিধায়ক। তিনি ঠিকাদার সংস্থা ও সেচদপ্তরের আধিকারিকদের ধমক দেন। বলেন, ভাঙন রোধের কাজে কোনও আপোষ হবে না। সরকারি টাকা লুটের চেষ্টা চলছে। নিম্নমানের কাজের অভিযোগ পেলেই সেচদপ্তরের সর্বোচ্চ আধিকারিক, এমনকী মুখ্যমন্ত্রীকে লিখিত অভিযোগ জানাব।