দুর্ঘটনা এড়াতে সিদ্ধান্ত পুরাতন মালদহ পুরসভার, বিসর্জনে প্রতিমা নিয়ে মহানন্দা নদীতে নামতে পারবেন না পুজো উদ্যোক্তারা
বর্তমান | ২২ আগস্ট ২০২৫
সংবাদদাতা, পুরাতন মালদহ: দুর্ঘটনা এড়াতে বিসর্জনের সময় প্রতিমা নিয়ে পুরাতন মালদহ শহরের মহানন্দা নদীতে নামতে পারবেন না পুজো উদ্যোক্তারা। এছাড়াও পুজোর ফুল, মাটির পাত্র থেকে শুরু করে বিভিন্ন জিনিসপত্র যত্রতত্র ফেলা যাবে না। নদীর ঘাটে পুরসভার ভলান্টিয়াররা সব সময় থাকবেন। পুজোর সামগ্রীগুলি তাঁদের দিতে হবে। তাঁরাই শ্রদ্ধা সহকারে সেগুলি এক জায়গায় রেখে দেবেন। এজন্য শহরের ক্লাবগুলিকে নিয়ে বৈঠক ডাকা হবে। সেখানে নিয়মগুলি আরও বিস্তারিতভাবে জানানো হবে বলে জানিয়েছে পুরসভা।
পুরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষ বলেন, মহানন্দা নদীর ঘাটগুলিতে পুরসভার ভলান্টিয়াররা থাকবেন। তাঁরা সুষ্ঠুভাবে প্রতিমা বিসর্জন করাবেন। প্রতিমা নিয়ে প্রচুর ক্লাব সদস্য নদীতে আসেন। কাউকে নদীতে নামতে দেওয়া হবে না। পুরসভা দেখভাল করবে। নিরাপত্তা এবং ভিড় নিয়ন্ত্রণ রাখতে পুলিস থাকবে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরের প্রায় ৯০টি দুর্গাপুজো হয়। অনেক কমিটি স্থানীয় পুকুরে প্রতিমা বিসর্জন করে। তবে সিংহভাগ পুজো কমিটি মঙ্গলবাড়ি স্কুলপাড়া মহানন্দা ঘাট, সদরঘাটে প্রতিমা বিসর্জন দেয়। এদিকে ইংলিশবাজার পুরসভা এবং মঙ্গলবাড়ি গ্রামীণ এলাকা থেকেও পুরাতন মালদহ শহরে ২৫টির বেশি প্রতিমা বিসর্জনের জন্য নিয়ে আসা হয়। এতে প্রচুর মানুষের সমাগম হয়। উৎসবের মাঝে দুর্ঘটনা এড়াতে সতর্ক স্থানীয় প্রশাসন। নদীর ঘাটে পুরসভার পক্ষ থেকে বাঁশের ব্যারিকেড দেওয়া হবে। থাকবে ক্যাম্প। ওই ব্যারিকেডে সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষেধ। সেখানে পুলিসের উপস্থিতিতে পুরসভার কর্মীরা বির্সজন তদারকি করবেন।
মালদহ থানার পুলিস জানিয়েছে, বির্সজনে নদীতে কাউকে নামতে দেওয়া হবে না। পুরসভা সবরকম ব্যবস্থা করবে। আগামী দিনে পুজোর মিটিংয়ে সব জানিয়ে দেওয়া হবে। শহরের সারদা কলোনি কিশোর সংঘের সভাপতি এবং সম্পাদক গদাই ঘোষ ও কালু ঘোষ বলেন, ভালো উদ্যোগ। এতে আমাদের দায়িত্ব অনেক কমে যায়। বিসর্জনে অনেক সদস্য আনন্দ করতে করতে নদীতে আসেন। এর মধ্যে শিশু ও নাবালকরা থাকে। সবার দিকে নজর রাখা খুব কষ্টকর। প্রশাসন নদীতে নামতে না দিলেই ভালো। নিজস্ব চিত্র