• মোবাইল দেখানোর নাম করে কিশোরীকে ধর্ষণ, ২০ বছরের জেল
    বর্তমান | ২২ আগস্ট ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: নতুন মোবাইল দেখানোর নাম করে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ। ঘটনায় ২০ বছরের জেল হল অভিযুক্তের। বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি বিশেষ পকসো আদালতের বিচারক রিণ্টু শূর ওই সাজা ঘোষণা করেন। ২০২২ সালের ১৬ আগস্ট এনজেপি থানায় এনিয়ে নির্যাতিতার মা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে পুলিস তদন্তে নেমে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা পড়ে আদালতে। মামলায় মোট ১১ জন সাক্ষ্য দেন।

    আদালতে জমা পড়া সমস্ত তথ্যপ্রমাণ ও সাক্ষ্যের ভিত্তিতে আদালত এদিন অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করার পাশাপাশি সাজা ঘোষণা করে বলে জানান মামলার সরকারি আইনজীবী দেবাশিস দত্ত। তিনি বলেন, দোষীকে ২০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও দু’মাসের জেল। সেইসঙ্গে আদালত নির্যাতিতা কিশোরীকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে ডিস্ট্রিক্ট লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটিকে।

    মামলার সরকারি আইনজীবী বলেন, ঘটনার সময় মেয়েটির বয়স ছিল ১৫ বছর। তার বাবা-মা দু’জনেই রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। ফলে সকাল হলে কাজে চলে যেতেন তাঁরা। মেয়েটি বাড়িতে একাই থাকত। ওই এলাকাতেই ভাড়া থাকত অভিযুক্ত যুবক। ঘটনার দিন নতুন মোবাইল দেখানোর নাম করে ওই নাবালিকাকে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায় সে। এরপর ঘরের দরজা বন্ধ করে তাকে ধর্ষণ করে। যুবকের বাড়িতে চড়াও হয়ে হাতেনাতে তার কুকীর্তি ধরে ফেলেন বাসিন্দারা।  নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)