এবছর ১৫ হাজার চাষিকে ২৫২ কোটি টাকা ঋণ দেবে জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্ক
বর্তমান | ২২ আগস্ট ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: চলতি বছরে ১৫ হাজার চাষিকে ২৫২ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জলপাইগুড়ি সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক। বৃহস্পতিবার বোর্ড মিটিংয়ের পর এমনটাই জানিয়েছেন ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী। তিনি বলেন,কৃষকের পাশে সবসময় রয়েছে আমাদের ব্যাঙ্ক। বছরের প্রথম থেকেই ধান-পাট সহ অন্যান্য ফসল চাষ করা কৃষকদের লোন দিচ্ছি। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে আলুচাষিদের ঋণ দেওয়া শুরু করব। চলতি বছরে ১৫ হাজার কৃষককে ২৫২ কোটি টাকা লোন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফিরিয়ে আনতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্প চালু করেছেন। এবার ফিরে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের স্বনির্ভর করতে তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জলপাইগুড়ি সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক। ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান বলেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফিরিয়ে আনতে দারুণ পদক্ষেপ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। যেসব পরিযায়ী শ্রমিক এলাকায় ফিরে স্বনির্ভর হতে চাইবেন, তাঁদের পাশে থাকবে ব্যাঙ্ক। পরিযায়ী শ্রমিকরা যদি বাড়িতে ফিরে ছোটখাট ব্যবসা করতে চান, তাঁদের লোন দেব।
জলপাইগুড়ি সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কে বর্তমানে বছরে ৮০০ কোটি টাকারও বেশি টার্নওভার। শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলায় ছড়িয়ে রয়েছে এই ব্যাঙ্কের ১৯টি শাখা ও ৪৩টি গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্র। ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান বলেন, আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকাতেও আমাদের ব্যাঙ্কের অধীনে অনেক সমবায় সমিতি রয়েছে। সেগুলি কম্পিউটারাইজড করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ওই সমবায় সমিতির কর্মীদের প্রশিক্ষণের পর দেওয়া হবে কম্পিউটার। নাবার্ডের সহযোগিতায় সেই কাজ হবে।
শুধু কৃষির উন্নয়নে নয়, যাঁরা পশুপাখি প্রতিপালন করেন কিংবা ছোট আকারে কৃষি নির্ভর শিল্প ও খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ শিল্প গড়ছেন, তাঁদের পাশেও দাঁড়িয়েছে জলপাইগুড়ি সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক। সেইসঙ্গে পর্যটনের প্রসারে হোম স্টে তৈরির ক্ষেত্রে লোন দিচ্ছে তারা। টোটো কিংবা বাইক কিনতেও কম সুদে ঋণ দেওয়া শুরু হয়েছে।
যদিও করোনার পর থেকে জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সমবার ব্যাঙ্কে অনাদায়ী কৃষিঋণের পরিমাণ বেড়েছে। বর্তমানে প্রায় তিনশো কোটি টাকার কৃষিঋণ অনাদায়ী রয়েছে বলে ব্যাঙ্ক সূত্রে খবর। চেয়ারম্যানের দাবি, অনাদায়ী কৃষি ঋণ আদায়ে জোর দিয়েছি। অনেকটাই আদায় হয়েছে।