শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছে নেশার সামগ্রী বিক্রি বন্ধে সচেতনতায় জেলা প্রতি বরাদ্দ ১০ লক্ষ
বর্তমান | ২২ আগস্ট ২০২৫
অগ্নিভ ভৌমিক, কৃষ্ণনগর: রাজ্যে নেশামুক্ত সমাজ গড়তে শুরু হতে চলেছে কড়া অভিযান। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১০০ মিটারের মধ্যে সিগারেট ও অন্যান্য নেশাজাত দ্রব্য বিক্রিতে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে তৎপর হয়েছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি সচেতনতা বাড়াতে প্রতিটি জেলাকে ১০ লক্ষ টাকা করে বরাদ্দ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, রাজ্য ও জেলা স্তরে গঠন করা হয়েছে দুটি পৃথক উচ্চস্তরীয় কমিটি, যারা গোটা অভিযানের অগ্রগতি নিয়মিত খতিয়ে দেখবে।
রাজ্য স্তরের কমিটিতে থাকছেন প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা দপ্তরের প্রতিনিধি, নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর আধিকারিক, চারটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধি এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকরা। এই কমিটি প্রতি দু’মাস অন্তর বৈঠক করে নেশামুক্ত অভিযানের অগ্রগতি পর্যালোচনা করবে।
অন্যদিকে প্রতিটি জেলায় গঠন করা হয়েছে পৃথক কমিটি। তাতে রয়েছেন জেলাশাসক, পুলিস সুপার, জেলা মেডিকেল অফিসার, সমাজকল্যাণ আধিকারিক, শিক্ষা আধিকারিক এবং জেলা জজের প্রতিনিধি। তাঁদের দায়িত্ব হল জেলার ভিতরে সমস্ত কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা এবং রাজ্য কমিটিকে অগ্রগতি সম্পর্কে নিয়মিত রিপোর্ট দেওয়া।
অভিযানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সচেতনতা তৈরি। প্রতিটি স্কুল ও কলেজে ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের নিয়ে বিশেষ সচেতনতা শিবির করা হবে। কলেজ স্তরে গড়ে তোলা হচ্ছে স্টুডেন্টস ক্লাব, যেখানে শিক্ষার্থীরা নিজেরাই আলোচনা করে নেশাবিরোধী প্রচারে অগ্রণী ভূমিকা নিতে পারবে।
নেশাগ্রস্ত বা আসক্তদের শনাক্ত করে হাসপাতালে অথবা পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানো হবে। সেখানে কাউন্সেলিং এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলার প্রতিটি কাউন্সেলিং সেন্টার ও হাসপাতালের কাজকর্ম নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হবে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১০০ মিটারের মধ্যে সিগারেট ও অন্যান্য তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি রোধে আইন কার্যকর করার ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। মাদকদ্রব্যে বিক্রি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে নিয়মিত তার ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। অভিযানকে আরও শক্তিশালী করতে জেলা ও ব্লক স্তরে সেবা প্রদানকারীদের জন্য প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। পাশাপাশি, জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।