• এনসিবির হাতে ধরা পড়ার পর ২৭ মাস জেল, কোচবিহার থেকে গাঁজা নিয়ে বীরভূমে ঢুকতেই গ্রেপ্তার মন্টু
    বর্তমান | ২২ আগস্ট ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, সিউড়ি: ২৭ মাস পর জেলমুক্তি হতেই ফের স্বমহিমায় মাদক পাচারে সিদ্ধহস্ত মন্টু। ছাড়া পেতেই নতুন করে মাদকের কারবারে ঝাপিয়ে পড়েছিল সে। পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ডে ঘাঁটি গেড়ে থাকা পাচার চক্রের মাস্টার মাইন্ডের পরিকল্পনা মতোই গাঁজা পাচারের ছক কষেছিল। প্রাথমিক তদন্তে সাঁইথিয়া থানার পুলিস এমনটাই জানতে পেরেছে। গাঁজা পাচার চক্রের সেই মাস্টার মাইন্ডের খোঁজ পেতে তদন্তকারীরা ধৃত মন্টু পালকে দফায় দফায় জেরা চালিয়ে যাচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে পুলিস জানতে পেরেছে, বাজেয়াপ্ত করা বিপুল পরিমাণ গাঁজা উত্তরবঙ্গের কোচবিহার থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল। সেই কাজে গাড়ির চালক মন্টু ক্যারিয়ার হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। তদন্তকারীদের কথায়, জেলমুক্তি হতেই ফের একবার মন্টু মাদক পাচারে সক্রিয় হয়ে উঠেছিল। এক পুলিস আধিকারিক বলেন, তদন্ত চলছে। জিজ্ঞাসাবাদে বেশকিছু তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। সেসব তথ্য আমরা খতিয়ে দেখছি। মন্টুকে জেরা করে এই মাদক পাচার চক্রের মাস্টার মাইন্ডের খোঁজ শুরু হয়েছে। 

    চলতি সপ্তাহের সোমবার রাতে গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে সাঁইথিয়া থানার পুলিস সাঁইথিয়া-লাভপুর রোডের উপর কিষাণ মান্ডি সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালায়। সেই সময়ে একটি চলন্ত গাড়িকে আটক করে তার চালককে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে চালক স্ববিরোধী কথাবর্তা বলতে শুরু করায় পুলিসের সন্দেহ হয়। তারপরই গাড়ি সার্চ করা শুরু হলে প্রায় ৩৮ কেজি গাঁজার হদিশ মেলে। তৎক্ষণাৎ গাড়িচালক মন্টুকে গ্রেপ্তার করে সাঁইথিয়া থানার পুলিস। পরদিন অর্থাৎ মঙ্গলবার ধৃতকে আদালতে পেশ করে পুলিসি রিমান্ড চাওয়া হয়। বিচারক ধৃতের ছ’ দিনের পুলিস হেফাজত মঞ্জুর করেন।। এরপরই শুরু হয় একটানা জিজ্ঞাসাবাদ। ইতিমধ্যে পুলিস জানতে পেরেছে, ধৃত বিপুল পরিমাণ গাঁজা কোচবিহার থেকে সড়ক পথে এই জেলায় নিয়ে এসেছে। গন্তব্য ছিল নলহাটি। তবে, সেখানে কার হাতে ওই বিপুল পরিমাণ গাঁজা তুলে দেওয়া হতো তার জবাব অবশ্য এখনও দেয়নি মন্টু। একই সঙ্গে এই পাচার চক্রের মাস্টার মাইন্ড ও তার সঙ্গে জড়িত অন্যান্য কারবারি ও সহযোগীদের খোঁজ শুরু হয়েছে। 

    গাঁজা পাচার চক্রের তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পেরেছে, ধৃত মন্টু সাম্প্রতিক অতীতেও মাদকের কারবারে জড়িত ছিল। ২০২২ সালে সে এনসিবি অর্থাৎ নারকোটিক কন্ট্রোল ব্যুরোর হাতে ধরা পড়েছিল। সে সময়ে একটানা ২৭ মাসের জেল খাটতে হয় তাকে। জেলমুক্তি হতেই ফের একবার মাদক পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে মন্টু। শুরুতেই গাঁজা পাচারের কনসাইনমেন্ট নিয়ে কোচবিহার থেকে নলহাটির দিকে যাত্রা শুরু করেছিল সে। যদিও পুলিসি তৎপরতায় শেষ রক্ষা হয়নি। এই মাদক পাচারের কারবারের জাল কতদূর ছড়িয়ে রয়েছে, তা দেখতে তৎপর পুলিস।
  • Link to this news (বর্তমান)