• রোগী ভর্তি কেন? আর জি করের জরুরি বিভাগে মহিলা চিকিৎসককে ‘অপমান’ ডাক্তারি পড়ুয়ার
    প্রতিদিন | ২২ আগস্ট ২০২৫
  • রমেন দাস: ফের শিরোনামে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতাল। অভিযোগ, হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মধ্যেই এক মহিলা চিকিৎসককে অপমানিত হতে হয়েছে! অভিযোগের তির কোনও রোগীর পরিবারের দিকে নয়, মেডিক্যাল কলেজেরই ডাক্তারি পড়ুয়ার দিকে! দাবি, আর জি কর হাসপাতালের (RG Kar Hospital) মেডিসিন বিভাগের এক পিজিটি (Post Graduate Trainee) ওই মহিলা হাউস স্টাফকে চূড়ান্ত অপমান করেছেন! সঙ্গে আরও কয়েক জনকে নিয়ে ওই মহিলা চিকিৎসককে অপদস্ত করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় খবর গিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে। সূত্রের দাবি, উপযুক্ত ব্যবস্থার আশ্বাস মিলেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে। যদিও পুরো ঘটনাটি বাড়িয়ে বলা হচ্ছে বলেও দাবি অভিযুক্ত পড়ুয়ার সহকর্মীদের।

    ঠিক কী অভিযোগ উঠেছে? দাবি, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে এক রোগী ভর্তিকে কেন্দ্র করে ঝামেলার সূত্রপাত। সূত্রের খবর, হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসা ওই রোগীকে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠান। সেখান থেকে তাঁকে দেওয়া হয় মেডিসিন বিভাগে। সেখানেই ভর্তির বন্দোবস্ত করানো হয়। ওই রোগীর ‘মৃত্যুর পর’ মেডিসিন বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক-পড়ুয়াদের সঙ্গে রোগীর আত্মীয়দের সামান্য বাদানুবাদ হয় বলে খবর! অভিযোগ, বৃহস্পতিবার ভোররাতে মেডিসিন বিভাগের এক পিজিটি এবং আরও কয়েকজন, রোগীর পরিবারের সদস্যরা তাঁদের উপরে চড়াও হলেন কেন, এই প্রশ্ন তোলেন! তাঁরা হাজির হন আর জি করের জরুরি বিভাগের ওই মহিলা হাউস স্টাফের কাছে। এরপরেই গণ্ডগোল হয় বলে অভিযোগ। ঘটনা মোড় নেয় অপমানের পর্যায়ে! যদিও মেডিসিন বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসকদের একাংশের দাবি, সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। কেউ কাউকে অপমান করেননি বলেই দাবি তাঁদের একাংশের। যদিও অভিযুক্ত ওই ডাক্তারি পড়ুয়া, ভিনরাজ্যের বাসিন্দা। তিনি আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র। যাঁর বিরুদ্ধে আগেও প্রায় একই অভিযোগে সরব হন হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আরও এক চিকিৎসক।

    অভিযোগ-পালটা অভিযোগ, রাজনীতির জাঁতাকলে ফের আর জি কর হাসপাতালে এমন ঘটনা কেন ঘটবে এই প্রশ্নও তুলছেন কেউ কেউ! যদিও ‘সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালে’র তরফে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং অভিযোগকারিণী ওই মহিলা হাউস স্টাফের সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা হলেও সদুত্তর পাওয়া যায়নি।
  • Link to this news (প্রতিদিন)