অচ্যুতানন্দনের স্মরণসভাতেও পার্টির বর্তমান প্রজন্মকে দায়িত্বশীল হওয়ার বার্তা বিমানের
প্রতিদিন | ২২ আগস্ট ২০২৫
স্টাফ রিপোর্টার: সিপিএম কর্মীদের জেলায় জেলায় পার্টিকে দৃঢ়ভাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে পথ চলার বার্তা দিলেন সিপিএম নেতা বিমান বসু। বাংলায় সিপিএম যখন শূন্য, তখন ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের আগে দলের কর্মীদের চাঙ্গা করতে বারবার এমনই বার্তা দিতে হচ্ছে প্রবীণ নেতাকে। বৃহস্পতিবার কলকাতায় প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনে কেরলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত ভিএস অচ্যুতানন্দনের স্মরণসভায় একদিকে বিমান পার্টির বর্তমান প্রজন্মকে পার্টির প্রতি আরও দায়িত্বশীল হওয়ার বার্তা দিয়েছেন, অন্যদিকে পার্টির রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমকেও জীর্ণ-পুরনো-দুর্বলতা কাটিয়ে পার্টির কাঠামো বদলে আন্দোলনমুখী করার কথা বলতে শোনা গিয়েছে।
বিমান বলেন, ‘‘বহু প্রতিকূলতার মধ্যে অচ্যুতানন্দন তিল তিল করে নিঃস্ব, শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে গড়ে তুলেছিলেন কমিউনিস্ট পার্টি। মতাদর্শগত প্রশ্নে আপস করেননি। তাঁর জীবন থেকে এই শিক্ষা নিতে হবে।’’ বামফ্রন্ট চেয়ারম্যানের কথায়, ‘‘আমরা ফুল-বেলপাতা নিয়ে কারও স্মরণসভা করি না। তাঁদের সংগ্রামের কাহিনি তুলে ধরি যাতে বর্তমান ও ভবিষ্যতে শিক্ষা নিতে পারি।’’ বিরামহীন সংগ্রাম পরিচালনা করার শপথ নেওয়ার কথা বলেন তিনি।
স্মরণসভায় উপস্থিত সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক এম এ বেবির কথায়, অচ্যুতানন্দন শ্রমজীবীদের মধ্য থেকে উঠে এসেছিলেন। শ্রমজীবীদের অসাধারণ নেতা হয়ে উঠেছিলেন। এদিকে, দু’দিন ধরে চলা সিপিএমের রাজ্য কমিটির বৈঠক বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে। জেলা ধরে ধরে এলাকাভিত্তিক আন্দোলন কী হতে পারে, মানুষ কী চাইছে, কোন ইস্যুতে জোর দেওয়া যাবে, সেসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে ‘পাওয়ার পয়েন্ট’ যেটা হয়েছিল বিগত রাজ্য সম্মেলনে সেই বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা নেওয়া হয়। এদিন স্থায়ী আমন্ত্রিত হিসেবে রাজ্য কমিটির সদস্য করা হয়েছে ডিওয়াইএফআইয়ের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিমগ্নরাজ ভট্টাচার্য ও রাজ্য সভাপতি অয়নাংশু সরকার, এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক ও সভাপতি যথাক্রমে দেবাঞ্জন দে এবং প্রণয় ক্যার্যী, আশা ছেত্রী ও ধ্রুবজ্যোতি চক্রবর্তীকে।