পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের বড়সড় রদবদল, নতুন দায়িত্ব পেলেন একাধিক আইপিএস অফিসার...
আজকাল | ২২ আগস্ট ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের শীর্ষস্তরে বড়সড় রদবদল ঘটাল রাজ্য সরকার। স্বরাষ্ট্র ও পার্বত্য বিষয়ক দপ্তরের অধীনস্থ পুলিশ সার্ভিস সেল থেকে জারি হওয়া এক সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে একাধিক আইপিএস অফিসারকে স্থানান্তর ও পদোন্নতির মাধ্যমে নতুন দায়িত্বে নিয়োগ করা হয়েছে। রাজ্যপাল এই পদায়নে ইতিমধ্যেই সম্মতি দিয়েছেন। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, কালিম্পংয়ের এসপি শ্রীহরি পাণ্ডেকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চের সিনিয়র স্পেশাল পদে।
উত্তরবঙ্গ ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চের সিনিয়র স্পেশাল পদে নিযুক্ত হয়েছেন মিস অপরাজিতা রায়, যিনি এতদিন শিলিগুড়িতে আই বি–নর্থ বেঙ্গলের এস.এস. পদে ছিলেন। ডায়মন্ড হারবারের পুলিশ সুপার রাহুল গোস্বামীকে স্থানান্তরিত করে পাঠানো হয়েছে দেবগ্রামে, যেখানে তিনি আরএএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার হিসেবে কাজ করবেন। হাওড়া কমিশনারেটের নর্থ বিভাগের ডিসিপি বিশপ সরকারকে ডায়মন্ড হারবার জেলার নতুন এসপি করা হয়েছে। অন্যদিকে, শিলিগুড়ি কমিশনারেটের ডিসিপি (ট্রাফিক) বিশ্ব চাঁদ ঠাকুরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে হাওড়া কমিশনারেটের নর্থ বিভাগের ডেপুটি কমিশনার হিসেবে।
ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) অম্লান কুসুম ঘোষকে পদোন্নতি দিয়ে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের ডিসিপি (ট্রাফিক) করা হয়েছে। পাশাপাশি, SAP–এর দশম ব্যাটালিয়নের ডেপুটি কমান্ডিং অফিসার কাজি সামসুদ্দিন আহমেদকে স্থানান্তরিত করে শিলিগুড়ি কমিশনারেটের ডিসিপি (ট্রাফিক) পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সরকারি বিজ্ঞপ্তির শেষ অংশে বলা হয়েছে, এই রদবদলের নির্দেশ পাঠানো হয়েছে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে—ডিজি ও আইজিপি, অতিরিক্ত ডিজি, আইজিপি, ডিআইজি, এসপি, এসআরপি এবং বিভিন্ন কমান্ডিং অফিসারদের কাছে।
একইসঙ্গে কলকাতা, ব্যারাকপুর, বিধাননগর, হাওড়া, আসানসোল-দুর্গাপুর, শিলিগুড়ি ও চন্দননগর কমিশনারেটেও বিজ্ঞপ্তি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও মানবাধিকার কমিশনের সচিব, পুলিশ অধিদপ্তরের স্টাফ অফিসার, হিসাব বিভাগের যুগ্ম পরিচালক, রেজিস্ট্রার-I ও II, ডিজি-র সিআর ও সাব-সিআর শাখা এবং ডিজি ও আইজিপি-র দপ্তরেও নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। প্রশাসনিক মহলের মতে, এই ব্যাপক রদবদলের মূল লক্ষ্য হল পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে নেতৃত্বের পরিবর্তনের মাধ্যমে কার্যক্ষমতা বাড়ানো এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আরও দক্ষতা আনা। নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারদের অভিজ্ঞতা ও প্রশাসনিক দক্ষতা রাজ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে।