• প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে বাধ সাধবে বৃষ্টি? আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাসে ঘনাচ্ছে আশঙ্কার মেঘ...
    আজকাল | ২২ আগস্ট ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: শুক্রবার বঙ্গে নয়া মেট্রো রেলপথের উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিকেলে যশোর রোড স্টেশন থেকে নয়া মেট্রোর উদ্বোধন করবেন তিনি। পাশাপাশি, হাওড়ার সাবওয়েরও উদ্বোধন করার কথা রয়েছে তাঁর। দমদমে সেন্ট্রাল জেলের পাশে সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু তাঁর এই বিরাট সূচিতে এবার পড়তে পারে বাধাও। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, শুক্রবার সারাদিন শহর কলকাতায় অবিরাম বৃষ্টি পড়বে। মেঘলা আকাশ তো থাকবেই, পাশাপাশি কখনও কখনও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। শুক্রবার কলকাতার পরিবহণ ব্যবস্থার জন্য এক অতি গুরুত্বপূর্ণ দিন। আর এমন এক দিনে বৃষ্টি কী প্রভাব ফেলবে তা যদিও এখনও বোঝা যাচ্ছে না।

    বৃহস্পতিবার আলিপুরের তরফে জানানো হয়েছে, সারাদিন ধরে শহরে বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে, পাশাপাশি নিচু জায়গা বিশেষ করে আন্ডারপাসে জল জমতে পারে। যানজটের ব্যাপারেও আগাম সতর্কতা দেওয়া হয়েছে। এখন প্রশ্ন উঠছে, একে প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠান, রয়েছে, যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ তো করা হবেই, তার ওপর বৃষ্টির কারণে কতটা প্রভাব পড়বে শহরবাসীর ওপর? অনুষ্ঠানে কোনও বাধা পড়বে না তো?  শুক্রবার যশোর রোড স্টেশন থেকে মেট্রোর বিভিন্ন প্রকল্পগুলি উদ্বোধন করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যে যেমন আছে নোয়াপাড়া থেকে জয় হিন্দ পর্যন্ত নবনির্মিত ইয়েলো লাইন এবং হেমন্ত মুখোপাধ্যায় স্টেশন থেকে বেলেঘাটা পর্যন্ত অরেঞ্জ লাইন তেমনি রয়েছে শিয়ালদহ থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোপথের অতিশয় গুরুত্বপূর্ণ অংশটি।

    শিয়ালদহ ডিভিশনের সিনিয়র জন সংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী বলেন, 'নি:শ্বব্দ বিপ্লব আসছে কলকাতার পরিবহনে। অল্প খরচে আরামদায়ক ও দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছতে যা ব্যবহার করবেন সকলেই।' তিনি জানান, এইমুহুর্তে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোপথে ট্রেন প্রতি ২০ মিনিট অন্তর ছাড়লেও গোটা পথ চালু হওয়ার পর ট্রেন চলাচল করবে প্রতি আট মিনিট অন্তর। তাঁর কথায়, 'এই পথ চালু হওয়ার পর যারা সল্টলেক যেতে উল্টাডাঙা বা দমদম স্টেশন ব্যবহার করেন তাঁরা অনেক কম সময়ে তাঁদের গন্তব্যে পৌঁছে যেতে পারবেন। ফলে পূর্ব রেলের এই স্টেশন দুটিতে যাত্রীর চাপও অনেকটাই কমে যাবে। আমরা মনে করছি এরপর প্রতিদিন হাওড়া থেকে ৬ থেকে ৭ লক্ষ লোক যাতায়াত করবেন এই মেট্রো পথে।' 

    রাজ্য সরকারের বিভিন্ন অফিস এই মুহূর্তে সল্টলেকে। এরসঙ্গে সল্টলেক বা সেক্টর ফাইভ একটি আইটি হাব। ফলে জীবিকার তাগিদে বহু মানুষকে সল্টলেকে প্রতিদিন যাতায়াত করতে হয়। দিনের ব্যস্ত সময়ে এই পথে বাস বা অন্যান্য গাড়িগুলিতে যাত্রীদের ভিড়ে প্রায় পা রাখার জায়গা থাকে না। বিশেষ করে হাওড়া থেকে যে বাসগুলি সরাসরি সেক্টর ফাইভের দিকে আসছে সেই বাসে অফিসের সময়ে জায়গা পাওয়াও কখনও কখনও সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। সরকারি ও বেসরকারি বাস ছাড়াও বালি বা অন্যান্য জায়গা থেকেও বহু শাটল গাড়ি সল্টলেকের মধ্যে যাতায়াত করে। অনেকেই আছেন যারা সল্টলেকে আসার জন্য হাওড়ার পরিবর্তে বালি থেকে যাতায়াত করেন। কারণ যাতায়াতের সুবিধা। কিন্তু মেট্রোপথে যখন সরাসরি সল্টলেকে আসা যাবে তখন স্বাভাবিকভাবেই এই পথ তাঁরা বেছে নেবেন বলে মনে করা হচ্ছে। যার পিছনে দুটি কারণ, একটি যদি হয় আরামদায়ক যাত্রা তবে দ্বিতীয়টি অবশ্যই সময়।
  • Link to this news (আজকাল)