সন্তান থাকেন বিদেশে। এদিকে দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ স্বামী। একাকীত্ব ও অসহায়তায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন স্ত্রী সর্বাণী। বুধবার রাতে সেই মানসিক অবসাদ থেকেই পর্ণশ্রীতে নিজের বাড়িতে তিনি গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন অসুস্থ মৃণাল বাবু।
স্ত্রীর অবস্থা দেখে তাঁকে কোনক্রমে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। চিকিৎসকরা সর্বাণী দেবীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তাঁর ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে যাতে লেখা রয়েছে ‘দেখার কেউ নেই’। এর উপর ভিত্তি করেই পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
সূত্রের খবর, বেহালা পর্ণশ্রীতে থাকতেন বৃদ্ধ মৃণালকান্তি পাল এবং তাঁর স্ত্রী সর্বাণী পাল। তাঁদের একমাত্র সন্তান কর্মসূত্রে থাকতেন শিকাগোতে। বিদেশে থাকলেও বাবা -মায়ের সঙ্গে যথাযথভাবে যোগাযোগ ছিল তাঁর। কিন্তু একদিকে অসুস্থ স্বামী এবং অন্যদিকে ছেলেকে কাছে না পাওয়ার যন্ত্রণা কুড়ে কুড়ে খাচ্ছিল মা সর্বাণীকে। মানসিক অবসাদগ্রস্ত পড়েছিলেন তিনি।
নিজের অসহায়তা থেকে বুধবার রাতে তিনি চরম সিদ্ধান্ত নেন। আচমকাই ঘরের দরজা বন্ধ করে নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন। সেই সময় বাড়িতেই ছিলেন অসুস্থ মৃণাল বাবু। তিনি কোনও মতে স্ত্রীকে উদ্ধার করে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসকরা বৃদ্ধাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তাঁর ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। সেই নোটে লেখা, ‘দেখার কেউ নেই’।
পর্ণশ্রী থানার পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। সুইসাইড নোট দেখে পুলিশের অনুমান, মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন বৃদ্ধা। আরও বয়স হলে কিভাবে বাঁচবেন এই দুশ্চিন্তা থেকেই তিনি এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন। এছাড়াও অন্য কোনও কারণ আছে কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।