নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা মেনেই রাজ্যের চার আধিকারিককে সাসপেন্ড করেছে নবান্ন। সূত্রের খবর, তাঁদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের বিভাগীয় তদন্ত করবেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। কিন্তু এখনই তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হচ্ছে না। যদিও কমিশন তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশও দিয়েছিল।
ভোটার তালিকায় গরমিলের অভিযোগে দুই ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (ইআরও), দুই সহকারী ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (এইআরও)–কে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দিয়েছিল কমিশন। এই মর্মে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। পাশাপাশি তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করতেও বলা হয়েছিল। ওই ৪ আধিকারিক ছাড়াও এক ডেটা-এন্ট্রি অপারেটরের বিরুদ্ধেও এফআইআর দায়ের করতে বলেছিল কমিশন। এই পদক্ষেপ করার জন্য ৭২ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, রাজ্যের কোনও আধিকারিকের বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে তিনি দেবেন না। তাঁর অভিযোগ ছিল, নির্বাচনের এখনও অনেক দেরি আছে। তা সত্ত্বেও কমিশন অতিসক্রিয়তা দেখাচ্ছে।
কমিশনের দেওয়া ৭২ ঘণ্টা সময়ের মধ্যেই নিজেদের অবস্থান জানিয়ে দিয়েছিল রাজ্য। মুখ্যসচিব কমিশনকে জানান, পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না বিধানসভা কেন্দ্রের ‘সহকারী নির্বাচনী নিবন্ধন আধিকারিক’ (এইআরও) সুদীপ্ত দাস এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের ‘ডেটা এন্ট্রি অপারেটর’ সুরজিৎ হালদারকে নির্বাচন সংক্রান্ত দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বাকিদের বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী অনুসন্ধান করার কথা ঘোষণা করা হয়। মনোজ পন্থ জানান, সেই অনুসন্ধানের রিপোর্ট নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হবে। এরপরেই মনোজ পন্থকে দিল্লিতে তলব করে কমিশন। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে ১৩ আগস্ট মনোজ পন্থ দিল্লিতে যান। সেই বৈঠকে রাজ্যের চার আধিকারিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ২১ আগস্ট, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়। সেই সময় শেষ হওয়ার আগেই রাজ্যের চার আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হল। যদিও আধিকারিকদের বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ দেওয়া হলেও আপাতত তা করা হবে না বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।