রবীন্দ্রনাথ-নজরুল-জীবনানন্দের কবিতা ও গানে প্রতিবাদ তৃণমূলের
দৈনিক স্টেটসম্যান | ২২ আগস্ট ২০২৫
বেশিরভাগ বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বাংলা ভাষা ও বাঙালির উপর হেনস্থা, ‘বাংলাদেশি’ সন্দেহে ধরপাকড়, জোর করে বাংলাদেশ পাঠানো বিতর্কে এবার অন্যরকম প্রতিবাদ তৃণমূল সাংসদদের। বৃহস্পতিবার সংসদের বাদল অধিবেশনের শেষদিন, শেষ বেলায় বাংলা ভাষা ও বাঙালিদের উপর অত্যাচার ইস্যু সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে অভিনব প্রতিবাদের পথ বেছে নিলেন তৃণমূলের সাংসদরা। অন্যদিনের মতো এদিনও বিক্ষোভ দেখানো হলেও সেই বিক্ষোভের পন্থা ছিল বেশ নজরকাড়া। বাংলায় লেখা পোস্টার নিয়ে ও বাংলা গান গেয়ে এইদিন তৃণমূল সাংসদরা প্রতিবাদ শুরু করেন সংসদ ভবনের সামনে। রবীন্দ্রনাথ, জীবনানন্দ, নজরুলের গান গেয়ে ও সাংসদ ঋতব্রত কবিতা পাঠ করে গোটা সংসদ চত্বর পরিভ্রমণ করেছেন।
বস্তুত বাংলা এবং বাংলাভাষীদের হেনস্থার প্রতিবাদের মঞ্চ হিসাবে সংসদকেই বেছে নিয়েছে বাংলার শাসকদল। অধিবেশনের প্রায় প্রতিদিনই বাংলা ভাষা ও বাঙালিদের উপর অত্যাচার ইস্যুতে সংসদ চত্বরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তৃণমূল সাংসদরা। স্লোগান, পোস্টার সবই বাংলায় লেখা হয়েছে। তৃণমূলের এই বিক্ষোভে শরিক দলের সদস্যরাও শামিল হয়েছেন বেশির ভাগ সময়ই।
এদিন অধিবেশন শুরুর আগে হাতে পোস্টার, ব্যানার নিয়ে বিক্ষোভে শামিল হয়েছিলেন লোকসভা ও রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদরা। ‘বাংলার অপমান মানছি না, মানব না’ বলে সমস্বরে স্লোগান তোলেন মহুয়া মৈত্র, মৌসম নূর, জুন মালিয়া, ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অন্যরা।
ইতিমধ্যেই গোটা দেশেই বাংলা ভাষা ও বাঙালির উপর ভিনরাজ্যে হেনস্থা, ‘বাংলাদেশি’ সন্দেহে ধরপাকড়, জোর করে বাংলাদেশে পাঠানো বিতর্কে সবার আগে প্রতিবাদে নেমেছে বাংলার তৃণমূল সরকার। বাংলার শাসকদল তৃণমূল নিজেদের দায়িত্ব বোধের কারণে সর্বপ্রথম বিষয়টি নিয়ে সরব হয় সংসদে। পরে পরে ‘ভাষা-সন্ত্রাস’ নিয়ে বাংলার পাশে দাঁড়িয়েছে অন্যান্য আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলিও। সংসদের বাদল অধিবেশনে প্রায় প্রতিদিনই সংসদ ভবন চত্বরে তৃণমূল সাংসদরা উপরোক্ত ইস্যুগুলি নিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছেন।