দেবজ্যোতি কাহালি: কোচবিহার ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে এক ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে হস্টেল থেকে এক ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তার সহপাঠীরা দেখতে পেয়ে তাঁকে উদ্ধার করে কোচবিহার MJN মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে দেখেন এবং তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রীর নাম অন্বেষা ঘোষ, বয়স কুড়ি। বাড়ি দুর্গাপুর বর্ধমান। সে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে থার্ড ইয়ারের স্টুডেন্ট। তবে কি কারণে এই আত্মহত্যা তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুরো বিষয়টি তদন্ত শুরু করেছে কোচবিহার কোতোয়ালি থানার পুলিস বলে সূত্র অনুযায়ী জানা গিয়েছে।
সম্প্রতি পড়ুয়াদের মধ্যে আত্মহত্যা করার প্রবণতা অতিরিক্ত মাত্রায় বেড়ে দাঁড়িয়েছে। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে হাওড়ায় ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যু ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃতের নাম রঞ্জিত সর্দার। বাড়ি, সাঁকরাইল থানার আন্দুল ঝোরহাট সর্দার পাড়ায়। বেসরকারি কলেজে মেকানিক্য়াল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়ুয়া ছিলেন তিনি। পরিবার লোকেদের দাবি, ঘড়িতে তখন প্রায় ১টা। ১৩ অগাস্ট রাতে হঠাত্ উধাও হয়ে যান রঞ্জিত। শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। শেষে বাড়ির ছাদেই ওই ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে, তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা।
পুলিস সূত্রে খবর, ধারাল অস্ত্রে মৃতের নলি ও হাতের শিরা কাটা ছিল। দেহ ময়নতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিস। পরিবারের দাবি, ছেলে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ানোর জন্য আত্মীয় পরিজনের কাছ থেকে মোটা টাকা ধার করেছিলেন রঞ্জিতের বাবা। ডিসেম্বরে কোর্স শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঋণের টাকা শোধ না হওয়ার মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন রঞ্জিত। সেকারণেই হয়তো আত্মহত্যা।
আপনি কি অবসাদগ্রস্ত? বিষণ্ণ? চরম কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না। আপনার হাত ধরতে তৈরি অনেকেই। কথা বলুন প্লিজ...
iCALL (সোম-শনি, ১০টা থেকে ৮টা) ৯১৫২৯৮৭৮২১
কলকাতা পুলিস হেল্পলাইন (সকাল ১০টা-রাত ১০টা, ৩৬৫ দিন) ৯০৮৮০৩০৩০৩, ০৩৩-৪০৪৪৭৪৩৭
২৪x৭ টোল-ফ্রি মানসিক স্বাস্থ্য পুনর্বাসন হেল্পলাইন-- কিরণ (১৮০০-৫৯৯-০০১৯)