আইনি জটিলতায় ফলপ্রকাশে কিছুটা দেরি হয়েছে সেকথা উল্লেখ করে জয়েন্ট উত্তীর্ণদের X হ্যান্ডেলে শুভেচ্ছা জানান মুখ্যমন্ত্রী। সমস্ত প্রতিকূলতাকে জয় করে জয়েন্ট উত্তীর্ণরা বাংলার মুখ উজ্জ্বল করবে বলেই আশা তাঁর।
গত ৭ অগস্ট জয়েন্ট এন্ট্রাসের ফল প্রকাশ করার কথা ছিল। কিন্তু মামলায় ওবিসি জটের কারণে ফলপ্রকাশ করা সম্ভব হয়নি। ২০১০ সালের পর রাজ্যের সব ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। ফলে ভর্তি প্রক্রিয়াতেও জটিলতা দেখা যায়। ২০২৪ সালের জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় ওবিসি পরীক্ষার্থীদের নিয়ে নতুন প্যানেল তৈরি করতে বলেছিল কলকাতা হাই কোর্ট। ২০১০ সালের আগে ৬৬টি ওবিসি সম্প্রদায়ের তালিকার ভিত্তিতে নতুন করে মেধাতালিকা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়। যাদের ২০১০ সালের পরে ওবিসি সংশাপত্র হয়েছে, তারা কাউন্সেলিংয়ে সুযোগ পাবেন না। সেই কথাও জানানো হয়। ফলে দেখা যায় জটিলতা। কলকাতা হাই কোর্টের পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের বেঞ্চে জয়েন্টের বিষয়েও আবেদন করা হয়।
এদিকে, কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দ্রের এজলাসে এই মামলার শুনানি হয়। জটিলতা না কাটলে জয়েন্টের কোনও ফলপ্রকাশ করা যাবে না। সেই নির্দেশ দেওয়া হয়। ফলে দুশ্চিন্তায় পড়ে রাজ্যের মেডিক্যাল ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পরীক্ষা দেওয়া কয়েক লক্ষ পড়ুয়া। এই পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। সেখানেই শুক্রবার অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ দেওয়া হয়। কলকাতা হাই কোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশের উপর এদিন অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। আর তারপরই নির্ধারিত সময় প্রায় ৩০ মিনিট আগে জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ফলপ্রকাশ হয়।