• ‘দাদুর স্বপ্নপূরণ...’, সর্বভারতীয় জয়েন্টের ‘টপার’ অর্চিষ্মান এ বার রাজ্যের মেধাতালিকায় কোন স্থান দখল করলেন?
    এই সময় | ২২ আগস্ট ২০২৫
  • আইনি জট সরতেই শুক্রবার প্রকাশিত হলো রাজ্য জয়েন্টের ফল। ফলপ্রকাশের পর খুশির জোয়ার খড়্গপুর গ্রামীণের চাঙ্গুয়াল গ্রাম পঞ্চায়েতের বারবেটিয়ায়। আবারও বারবেটিয়ার মুখ উজ্জ্বল করেছেন অর্চিষ্মান নন্দী। রাজ্য জয়েন্টে অষ্টম স্থান অধিকার করেছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুরের বাসিন্দা অর্চিষ্মান। এর আগে সর্বভারতীয় জয়েন্টে অর্থাৎ জেই মেনস (JEE Mains)-এ ‘টপার’ হয়েছিলেন তিনি।

    রাজ্য থেকে দেবদত্তা মাঝির সঙ্গেই অর্চিষ্মানও প্রথম স্থান দখল করেছিলেন। যদিও, তারপর জেইই অ্যাডভান্সে (JEE Advance) সফল হয়ে নিজের স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান আইআইটি খড়্গপুরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI/Artificial Intelligence) নিয়ে পড়ার জন্য ইতিমধ্যেই ভর্তি হয়েছেন অর্চিষ্মান।

    আইআইটি খড়্গপুরের ডিএভি মডেল স্কুলের ছাত্র অর্চিষ্মান CBSE-র দ্বাদশ শ্রেণির সর্বভারতীয় মেধাতালিকাতেও দশম স্থানে জায়গা করে নিয়েছিলেন। দশমে অর্থাৎ আইসিএসই (ICSE)-তে সর্বভারতীয় স্তরে পঞ্চম স্থান অধিকার করেছিলেন এই মেধাবী পড়ুয়া।

    অর্চিষ্মানের বাবা মিঠুন নন্দী একটি ওষুধ প্রস্তকারক সংস্থার পদস্থ কর্মী। মা অনিন্দিতা মাইতি নন্দী বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট। তাঁর বাবা মা জানান, অর্চিষ্মানের মামাতো দাদু বঙ্কিমবিহারী মাইতি ছিলেন আইআইটি খড়্গপুরের ১৯৭০ সালের প্রাক্তনী। তাঁর বিষয় ছিল রসায়ন। মূলত তাঁর দেখানো পথ ধরেই চলেছেন অর্চিষ্মান। তাঁদের কথায়, ‘ছেলের বিজ্ঞান শিক্ষার ভিত গড়ে দিয়েছিলেন দাদুই। অর্চিষ্মানের লক্ষ্যই ছিল দাদুর মতো আইআইটি খড়্গপুরে পড়া। ওর দাদুও নাতিকে সেই নির্দেশই দিয়েছিলেন। শুধু নিজের নয়, দাদুর স্বপ্নও যে ছেলে পূরণ করতে পেরেছে, এটাই আমাদের কাছে গর্বের।’

  • Link to this news (এই সময়)