নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর, সেক্টর ফাইভ-হাওড়া ময়দান, নোয়াপাড়া-বারাসত মেট্রো রুটের উদ্বোধন
প্রতিদিন | ২৩ আগস্ট ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মেট্রো প্রকল্পের নীল নকশা তৈরি করেছিলেন মমতা। প্রকল্প বাস্তবায়নেও যাবতীয় সাহায্য করেছে রাজ্য সরকার। অথচ মেট্রো প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে একবারও বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর নাম নিলেন না মোদি। তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করল তৃণমূল।
মোদির দমদমের সভার পর তৃণমূলের তরফে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন কুণাল ঘোষ ও শশী পাঁজা। তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “যে প্রকল্পগুলির উদ্বোধন করলেন সেগুলি রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভেবেছেন। মেট্রো রেলের সম্প্রসারণের স্বপ্ন যিনি দেখেছেন, যিনি টাকা বরাদ্দ করেছেন, সেই মমতার নাম অন্তত একবার উল্লেখ করা তো উচিত ছিল। বাংলার ঘরের মেয়ে। ভোটের আগে নিজের উদ্বোধনী ফলকে নাম লেখাতে এসেছেন। বাংলার জন্য যিনি এত বড় কর্মযজ্ঞ করেছেন, তা নামটা তো একবার অন্তত কৃতজ্ঞতাস্বরূপ নেওয়া উচিত ছিল।”
শুক্রবার বিকেলে বঙ্গসফরে এসে অরেঞ্জ লাইনে নিউ গড়িয়া থেকে বিমানবন্দর, গ্রিন লাইনে সেক্টর ফাইভ থেকে হাওড়া ময়দান এবং ইয়েলো লাইনে নোয়াপাড়া থেকে বারাসত রুটের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। নোয়াপাড়া থেকে বারাসত পর্যন্ত মেট্রোপথ হলেও আপাতত নোয়াপাড়া, যশোর রোড এবং জয় হিন্দ–এই তিনটি মেট্রো স্টেশনে যাত্রী পরিষেবা চালু হবে।
গত ১৬ বছর আগে রেলমন্ত্রী হিসাবে বাজেট প্রস্তাবের পাশাপাশি এই মেট্রো প্রকল্পগুলির অর্থ বরাদ্দ করে কাজ শুরু করিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগ, কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর বিজেপি সরকার এই প্রকল্পগুলির পরবর্তী খাতের আর্থিক বরাদ্দ অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছিল। তৃণমূলের দাবি, ভোটের আগে স্রেফ নির্বাচনী ফায়দা তুলতে ঢাকঢোল পিটিয়ে এই তিন মেট্রো রুটের উদ্বোধন করলেন মোদি।