• জয়েন্টে দ্বিতীয় কল্যাণীর সাম্যজোতি, বর্ধমানের সম্বিত ও অর্ক সপ্তম-দশম স্থানে, খুশি পরিবারে
    প্রতিদিন | ২৩ আগস্ট ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যে জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ফলপ্রকাশ হল। কলকাতা-সহ জেলাতেও প্রথম দশে সম্ভাব্য মেধা তালিকায় কৃতির নাম উঠে এসেছে। দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে নদিয়ার কল্যাণীর সাম্যজ্যোতি বিশ্বাস। ফলপ্রকাশের পরই কল্যাণীর বি ১২-৩০ নম্বর বাড়িতে খুশির হাওয়া। পরিজনরাও ফোন করে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন সাম্যজ্যোতিকে। ছেলেকে নিয়ে গর্বিত বাবা জয়ন্তকুমার বিশ্বাস ও মা সোমা বিশ্বাস।

    ছোট থেকেই মেধাবী সাম্যজ্যোতি। স্কুলেও মেধা তালিকায় প্রথম দশে থাকত সে। সিবিএসই বোর্ডের ছাত্র সাম্যজোতি মাধ্যমিকে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছিল। উচ্চ মাধ্যমিকে সে প্রথম ১৫-এর মধ্যে ছিল। তবে লক্ষ্য ছিল দেশের প্রথম সারির কোনও আইআইটিতে পড়ার সুযোগের। সেই মতো সে পড়াশোনার প্রস্তুতি নিয়েছিল। এই মুহূর্তে সাম্যজোতি মুম্বই আইআইটির ছাত্র। পড়াশোনার জন্য সেখানেই সে রয়েছে। ফোনে মা-বাবার সঙ্গে কথা বলেছে সাম্য। ছেলেকে সফল হওয়ার জন্য আশীবার্দ করেছেন বাবা-মা।

    ছোট থেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি গান শেখা, গিটার বাজানো, আঁকার সঙ্গে যুক্ত ছিল। খেলাধুলোও করত বন্ধুদের সঙ্গে। পরে ধীরে ধীরে অনেক বেশি পড়াশোনায় মনোনিবেশ করে সাম্য। মা সোমা বিশ্বাস নিজে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যাপিকা ছিলেন। ছেলের মাধ্যমিক পরীক্ষার পরে তিনি চাকরি ছেড়ে দেন। ছেলের পড়াশোনা দেখাতেন তিনিই। একাধিক শিক্ষকের কাছে সাম্য পড়াশোনা করত না। বাবা জয়ন্তকুমার বিশ্বাস কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। ছেলে জীবনে আরও সফল হোক, আশা করছেন বাবা-মা।

    বর্ধমান মডেল স্কুলের ছাত্র সম্বিত মুখোপাধ্যায় এবার রাজ্য জয়েন্টে সপ্তম স্থান অধিকার করেছে। পূর্ব বর্ধমান এলাকায় তার বাড়ি। অন্যদিকে, বর্ধমান মডেল স্কুলের ছাত্র অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায় জয়েন্টে দশম স্থান অধিকার করেছে। বর্ধমানের গোলাহাট এলাকার বাসিন্দা অর্ক বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল স্কুলের ছাত্র ছিল। এবারের উচ্চমাধ্যমিকে সে দশম স্থান অধিকার করেছিল। মাধ্যমিকে সে তৃতীয় স্থান স্থান অধিকার করেছিল। প্রথম থেকেই অর্কের খড়গপুর আইআইটিতে পড়ার ইচ্ছে ছিল। সেই ইচ্ছে সফলও হয়েছে। এই মুহূর্তে সে খড়গপুর আইআইটিতে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করছে। অর্কের বাবা বেসরকারি সংস্থার কর্মী। মা পেশায় স্কুল শিক্ষিকা। ছেলের সাফল্যে খুশি বাবা-মা।
  • Link to this news (প্রতিদিন)