• পার্থর প্রসঙ্গ তুলে নতুন বিলের পক্ষে সওয়াল মোদির! ‘ভুল’ ধরাল তৃণমূল
    প্রতিদিন | ২৩ আগস্ট ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটমুখী বাংলায় গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর সেখানেই জনসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি প্রশ্ন তুললেন, ৫০ ঘণ্টা জেলে থাকলেই সরকারি কর্মীর চাকরি যায়। তাহলে নেতা-মন্ত্রীদের যাবে না কেন। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ টেনে নতুন বিলের পক্ষে সওয়াল করেন নমো। বলেন, ”বাড়ি থেকে রাশি রাশি টাকা উদ্ধার হয়েছে, তবু পদ ছাড়তে চাননি তৃণমূলের এক নেতা।” এর আগে বিহারের জনসভাতেও ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিলের প্রসঙ্গ তুলে সরব হয়েছিলেন তিনি। যদিও শুক্রবার সন্ধেয় তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হল, মোদি সরকারি কর্মীদের বিষয়ে যে দাবি করলেন তা সত্যি নয়।

    মোদিকে বলতে শোনা গিয়েছে, ”একজন সরকারি কর্মীর চাকরি চলে যায় ৫০ ঘণ্টা জেলে থাকলে। আপনাআপনিই তিনি কাজ হারান। কিন্তু একজন মুখ্যমন্ত্রী, একজন মন্ত্রী এমনকী একজন প্রধানমন্ত্রীও সরকারে চালাতে পারেন জেল থেকে।” দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের প্রসঙ্গ তুলে (যদিও কারও নাম তিনি করেননি) মোদি বলেন, ”কিছু সময় আগেই আমরা দেখেছি কীভাবে জেলে বসে স্বাক্ষর করা হচ্ছিল। কীভাবে সরকারি নির্দেশ দেওয়া হচ্ছিল জেল থেকে। এই যদি নেতাদের আচরণ হয়, আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কী করে লড়ব? এনডিএ সরকার একটা আইনের প্রস্তাব এনেছে দুর্নীতির বিরুদ্ধে। যার অধীনে প্রধানমন্ত্রীও থাকবেন।” পাশাপাশি 

    এদিকে এদিন তাঁর ভাষণের পর তৃণমূল কংগ্রেসের সাংবাদিক সম্মেলনের সময় মোদির এই দাবিকে নস্যাৎ করা হল। মন্ত্রী শশী পাঁজা বললেন, ”প্রধানমন্ত্রী যে উদাহরণ দিয়েছেন তা ঠিক নয়। এমন পরিস্থিতিতে চাকরি যায় না, সেই কর্মী সাসপেন্ড হন।”

    প্রসঙ্গত, আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করার পরও তিনি কিন্তু ইস্তফা দেননি। জেলে বসেই সরকার চালিয়েছিলেন। পরে তিনি জামিন পান। এদিন সেই প্রসঙ্গই তুললেন মোদি। আসলে এই বিল নিয়ে শুরু থেকেই বিতর্ক ঘনিয়েছে। বিরোধীর লাগাতার প্রতিবাদ জানিয়ে এসেছেন বিলটির বিরুদ্ধে। যে দল কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকবে তারা এই আইনকে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে ব্যবহার করবে বলেই দাবি বিরোধীদের। এই পরিস্থিতিতে এদিন মোদির মুখে ফের সেই প্রসঙ্গ উঠে এল। 
  • Link to this news (প্রতিদিন)