সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভিনরাজ্যে বাংলার শ্রমিকদের হেনস্তা অব্যাহত! অনেককে পুশব্যাকের অভিযোগও উঠছে। প্রশ্ন উঠছে, তারা সত্যি অনুপ্রবেশকারী তো? এই আবহে বাংলায় এসে বাঙালি না বাংলাদেশি প্রশ্নে চুপ থাকলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পালটা বললেন, “অনুপ্রবেশে মদত দিচ্ছে তৃণমূল। অনুপ্রবেশকারী তাড়াবই। একবার ভোট দিন। এরা নিজেরাই পালিয়ে যাবেন।”
সাংবাদিক বৈঠকে পালটা দেয় তৃণমূলও। রাজ্যের শাসকদল প্রশ্ন তোলে, সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব বিএসএফের। যা অমিত শাহের দপ্তর। তাহলে কি শাহতেই অনাস্থা প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী? তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব কার? কোন দপ্তর? স্বরাষ্ট্রদপ্তর। কে দায়িত্বে? অমিত শাহ। ত্রিপুরা সীমান্ত দিয়ে ২০ জন ঢুকছে। রোহিঙ্গা-সহ ধরা পড়েছে। ওখানে ডবল ইঞ্জিন সরকার। কাচের ঘরে বসে ঢিল ছুড়ছেন।”
বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাংলা বলার অপরাধে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের হেনস্তার অভিযোগে উত্তপ্ত বাংলার রাজনীতি। পরিযায়ীদের পাশে দাঁড়িয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। কিন্তু বাংলায় এসে এই নিয়ে চুপ থাকলেন প্রধানমন্ত্রী। তবে বললেন, “অনুপ্রবেশকারী তাড়াবই।” সভা থেকে জনতার উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়লেন কারা তাড়াবে অনুপ্রবেশকারী? উত্তরে ‘মোদি, মোদি ‘ শুনে বললেন, “মোদি বা বিজেপি নয়, আপনার একটা ভোট এদের তাড়িয়ে দেবে। একবার ভোট দিন এরা নিজেরাই পালিয়ে যাবে।”
মোদির ভাষণের শেষে তৃণমূলের সাংবাদিক বৈঠকে কুণাল ঘোষ পালটা দেওয়ার পর মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, “প্রধানমন্ত্রী পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে কোনও কথা বললেন না। বলছেন বাংলাকে রাষ্ট্রীয় ভাষার মর্যাদা তাঁরা দিয়েছেন। কিন্তু সেই ভাষাকেই পররাষ্ট্রের ভাষা বলছে তাঁরই পিছনের সারিতে বসে থাকা বিজেপির অমিত মালব্য।”
দমদমের সভামঞ্চ থেকে বাংলাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেওয়া নিয়ে জোরাল সওয়াল করেন নরেন্দ্র মোদি। বাংলাকে ধ্রুপদী ভাষার সম্মান দেওয়া প্রসঙ্গে বলেন, “বিজেপি সরকার সগর্বে বাংলা ভাষা আর বাংলা সংস্কৃতিকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করছে। আমরাই বাংলা ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দিয়েছি।” বাংলা ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেওয়া নিয়ে বহুদিন ধরে লড়েছেন বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। পাতার পর পাতা গবেষণার কাজ কেন্দ্রের দরবারে জমা দেওয়া হয়। তা অনেকবার করে খুঁটিয়ে দেখা হয়েছে। তারপরও বাংলার মতো সমৃদ্ধ, সৃষ্টিকর্মের ভাষা ধ্রুপদী জগতে জায়গা পেতে সময় লেগে যায় অনেকখানি। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর গত ২০২৪ সালের অক্টোবরে বাংলা ধ্রুপদী ভাষার সম্মান পায়।