বাঙালি না বাংলাদেশি? ‘নীরব’ মোদির ‘ধ্রুপদী’ তাস, তৃণমূলের ‘টেলিপ্রম্পটার’ খোঁচা
প্রতিদিন | ২৩ আগস্ট ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলা ভাষায় কথা বললেই বাংলাদেশি সন্দেহে ভিনরাজ্যে বাঙালিদের হেনস্তার অভিযোগে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। প্রতিবাদে সরব তৃণমূল নেতৃত্ব। তারই মাঝে দমদমের সভামঞ্চ থেকে বাংলাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেওয়া নিয়ে জোরাল সওয়াল নরেন্দ্র মোদির। পালটা তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের জবাব, “টেলিপ্রম্পটারে দেখে বাংলা বলে কি দেখাতে চান?”
বাংলা ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেওয়া নিয়ে বহুদিন ধরে লড়েছেন বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। পাতার পর পাতা গবেষণার কাজ কেন্দ্রের দরবারে জমা দেওয়া হয়। তা অনেকবার করে খুঁটিয়ে দেখা হয়েছে। তারপরও বাংলার মতো সমৃদ্ধ, সৃষ্টিকর্মের ভাষা ধ্রুপদী জগতে জায়গা পেতে সময় লেগে যায় অনেকখানি। অনেকেই এনিয়ে বারবার সরবও হয়েছেন। তাতেও বাংলার প্রতি কেন্দ্রের ‘বঞ্চনা’র অভিযোগ ওঠে। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর গত ২০২৪ সালের অক্টোবরে বাংলা ধ্রুপদী ভাষার সম্মান পায়।
এদিনের মঞ্চে দাঁড়িয়ে আরও একবার যেন বাঙালি আবেগে শান দিলেন মোদি। বাংলাকে ধ্রুপদী ভাষার সম্মান দেওয়া প্রসঙ্গে বলেন, “বিজেপি সরকার সগর্বে বাংলা ভাষা আর বাংলা সংস্কৃতিকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করছে। আমরাই বাংলা ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দিয়েছি।” তবে বাঙালি হেনস্তা ইস্যুতে একটি শব্দও খরচ করেননি মোদি। অথচ ভিনরাজ্যে বাঙালি হেনস্তা ইস্যুতে রাজনৈতিক মহলে জোর শোরগোল। মোদিকে এদিন পালটা জবাব দেয় তৃণমূল। কুণাল ঘোষের কটাক্ষ, “টেলিপ্রম্পটারে দেখে বাংলা বলে কি দেখাতে চান?”
উল্লেখ্য, একে তো দলীয় গোষ্ঠীকোন্দল। আবার তার উপর দক্ষ সংগঠকের অভাব। তার ফলে অতীতের একের পর এক নির্বাচনে আশানুরূপ ফল করতে পারেনি বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে আগামী বছরই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। আসন্ন ভোটই পাখির চোখ গেরুয়া শিবিরের। তাই কি বাঙালি আবেগকে হাতিয়ার করার চেষ্টা করছেন মোদি? আর সে কারণেই বাংলাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেওয়া নিয়ে সুর চড়ালেন, স্বাভাবিকভাবে ওয়াকিবহাল মহল সে প্রশ্ন তুলছে।