• কোচবিহারে তৃণমূল নেতা অমর খুনে অরুণাচল থেকে গ্রেপ্তার ২
    বর্তমান | ২৩ আগস্ট ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: ডোডেয়ারহাটে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অমর রায়কে গুলি করে খুনের ঘটনায় পুণ্ডিবাড়ি থানার পুলিস আরও দু’জনকে গ্রেপ্তার করল। গত রবিবার এই ঘটনায় পুলিস বিনয় রায় নামে এক শার্প শ্যুটারকে গ্রেপ্তার করেছিল। তাকে জেরা করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতদের নাম নারায়ণ বর্মন ওরফে বিশাল এবং কিশোর বর্মন ওরফে ভোগি। দু’জনই কোচবিহারের পুণ্ডিবাড়ি থানার মরা নদীর কুঠির বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার রাতে অরুণাচলপ্রদেশের পাপুম পারে জেলার নাহারলাগুন থেকে এদের ধরা হয়। 

    পুলিস সূত্রে খবর, ধৃতদের শুক্রবার আদালতে পেশ করে ১৪ দিনের পুলিস হেফাজতের আবেদন জানানো হয়েছিল। আদালত ৭ দিনের পুলিস হেফাজত মঞ্জুর করেছে বলে পুণ্ডিবাড়ি থানার এক অফিসার জানান। ঘটনায় জড়িত বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস। খুব শীঘ্রই এই মামলার রহস্য উদঘাটন হবে বলে তদন্তকারী অফিসারদের দাবি। 

    কোচবিহারের পুলিস সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন, এ মাসের ৯ তারিখ ডোডেয়ারহাটে একটি গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। তাতে ডাওয়াগুড়ির অমর রায় নামে এক যুবক প্রাণ হারান। আলমগীর নামে একজন জখম হন। তিনি এখন ভালো আছেন। এই ঘটনায় অসম-বাংলা সীমানা থেকে বিনয় রায় নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তার কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছিল। তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে বেশকিছু তথ্য মেলে। একটি টিমকে অরুণাচলে পাঠিয়েছিলাম। দু’দিন ধরে সেখানে তল্লাশি চালিয়ে এই দু’জনকে জালে তোলা হয়। এদের বিরুদ্ধে যথাযোগ্য তথ্য প্রমাণ পেয়েছি। বাকিদের খোঁজে আমরা তল্লাশি চালাচ্ছি। 

    মৃত অমর রায়ের মা কুন্তলা রায় ডাওয়াগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। ঘটনার দিন অমর কয়েকজন সঙ্গীর সঙ্গে ডোডেয়ারহাটে মাংস কিনতে গিয়েছিলেন। সেখানেই তাঁর উপর হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় অমরের। মৃতের মা এ ঘটনায় প্রথমে সিবিআই তদন্তের দাবি করেছিলেন। পরে আবার সিআইডি’র প্রতি আস্থা প্রকাশ করেন। যদিও পুলিস ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে। এবার দু’জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিস এই ঘটনায় বড় সাফল্য পেল। কিন্তু ঠিক কী কারণে এই খুন, কে সুপারি দিল, তার কী উদ্দেশ্য, এসব এখনও পর্যন্ত পুলিস খোলসা করে বলেনি।
  • Link to this news (বর্তমান)