• শোকজের পরেও নিজের অবস্থানে অনড় দিলীপ, ফের এমআইসি মিটিংয়ে গরহাজির
    বর্তমান | ২৩ আগস্ট ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে শোকজ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবুও নিজের অবস্থানে অনড় শিলিগুড়ি পুরসভার বিদ্রোহী মেয়র পারিষদ দিলীপ বর্মন। শুক্রবার ফের তিনি মেয়র পরিষদের সভা ‘বয়কট’ করেন। এনিয়ে পর পর দু’বার তিনি এমআইসি সভা বয়কট করেন। দিলীপের এমন অবস্থানের জেরে অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। তাঁরা বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ আঁটলেও দলের নিচুতলার নেতা-কর্মীদের একাংশ দিলীপের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি তুলেছেন। কয়েকদিন আগে প্রকাশ্যে শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব ও ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকারের বিরুদ্ধে কুকথা বলেন দিলীপ। শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে তাঁকে শোকজ করেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। তবু দিলীপ নিজের অবস্থানে অটল। এনিয়ে তিনি দু’টি মেয়র পরিষদের সভা এবং পুরসভার পরিষদীয় দলের বৈঠকে অনুপস্থিত। দিলীপ পুরসভার গুরুত্বপূর্ণ মেয়র পরিষদ সদস্য। তাঁর অধীনে ট্রেড লাইসেন্স, ক্রীড়া ও আবাসন বিভাগ রয়েছে।

    বুক ফুলিয়ে দিলীপ বলেন, বোর্ড মিটিংয়ে প্রশ্ন করার জন্য অপমানিত হয়েছি। বিষয়টি দলের রাজ্য কমিটির কাছে বিস্তারিত জানিয়েছি। যতদিন পর্যন্ত দলের তরফ থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে ইতিবাচক উত্তর না মিলবে, এমআইসি সভা, বোর্ড মিটিং, পরিষদীয় কমিটির মিটিংয়ে যোগ দেব না। পুরসভার সমস্ত কর্মসূচিই বয়কট করছি। আর সভায় গিয়ে অপমানিত হতে রাজি নই। তবে, নিয়মিত পুরসভায় গিয়ে বিভাগগুলির কাজ সামাল দেব। 

    পুরসভায় মেয়র পারিষদের সংখ্যা ন’জন। পুরসভা সূত্রের খবর, প্রতি মাসে দু’টি করে মেয়র পরিষদের বৈঠক হয়। শহরের উন্নয়নে সেখানে মেয়র পরিষদ সদস্যরা বিভিন্ন প্রকল্প ও প্রস্তাব পেশ করেন। যা পরবর্তীতে বোর্ড মিটিংয়ে পাশ করে বাস্তবায়িত করা হয়। কিন্তু, বিদ্রোহী মেয়র পরিষদ সদস্য দিলীপ পর পর দু’টি বৈঠকে গরহাজির থাকায় পুরসভার তিনটি বিভাগের উন্নয়নমূলক কাজকর্ম ব্যাহত হয়েছে বলে অভিযোগ। এমন প্রেক্ষাপটে মেয়র পরিষদ সদস্যদের মধ্যে রদবদল করতে পারে পুরকর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিয়ে মেয়র ও ডেপুটি মেয়র মন্তব্য করতে চাননি।

    তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা চেয়ারম্যান (সমতল) সঞ্জয় টিবরেওয়াল অবশ্য বলেন, এটা দলীয় বিষয়। বাইরে কিছু বলা যাবে না। যদিও বিদ্রোহী মেয়র পারিষদের এমন অবস্থান মানতে পারছেন না তৃণমূলের নিচুতলার একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, ওই মেয়র পারিষদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। দলের ৪৬ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি মহম্মদ জহুর বলেন, ওই কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি বহুবার দলের কাছে জানানো হয়েছে। দল কেন তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না বুঝতে পারছি না।
  • Link to this news (বর্তমান)