ত্রাণ শিবিরে যেতে নারাজ ভূতনির রিং বাঁধের দুর্গতরা, স্থায়ী বাসস্থানের দাবি
বর্তমান | ২৩ আগস্ট ২০২৫
সংবাদদাতা, মানিকচক: ভূতনির রিং বাঁধে অব্যাহত গঙ্গা নদীর ভাঙন। তার মধ্যেই আতঙ্ক নিয়ে বাঁধের উপর বাস করছে দুর্গত তিন শতাধিক পরিবার। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁদের অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু জিনিসপত্র ছেড়ে যেতে তাঁরা যেতে নারাজ। দুর্গতরা এবার স্থায়ী বাসস্থানের দাবি তুলেছেন।
কয়েক মাস আগে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে ভূতনির কেশরপুর থেকে পশ্চিম রতনপুর পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করা হয়। কিন্তু সেই বাঁধটি এখন গঙ্গার গ্রাসে। গত কয়েকদিন ধরে বাঁধে ভাঙন অব্যাহত। এই অবস্থায় বাঁধে আশ্রয় নেওয়া বাসিন্দাদের আতঙ্কে ঘুম উড়েছে। বর্তমানে রিং বাঁধের উপর কেশরপুর, কালুটনটোলা, বসন্তটোলা ও পশ্চিম রতনপুরের প্রায় তিনশো পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের ত্রিপল ও শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে। রয়েছে বিদ্যুৎ ও শৌচালয়ের ব্যবস্থা। বাঁধের গা ঘেঁষে থাকা গঙ্গার জল সরাসরি রিং বাঁধে ধাক্কা মারছে। ফলে জল কমতেই ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে। আর সেই বাঁধের উপরেই বসবাস বীরবল মাহাতো, অজয় মণ্ডলদের। তবে, বাঁধ ছেড়ে অস্থায়ী শিবিরে যেতে নারাজ তাঁরা।
দুর্গতরা বলেন, নতুন বাঁধের বিভিন্ন অংশ যেভাবে ভাঙছে, তাতে আমরা খুব ভয়ে আছি। আমাদের বাড়ি গঙ্গায় চলে গিয়েছে। তাই বাঁধের উপর আশ্রয় নিয়েছি। ত্রাণকেন্দ্রে যাওয়ার মতো অবস্থা নেই। সমস্ত আসবাবপত্র নিয়ে যাওয়া অসম্ভব। তাই প্রশাসন আমাদের জন্য স্থায়ী ও সুরক্ষিত বাসস্থানের ব্যবস্থা করুক। মালদহের জেলাশাসক নীতিন সিঙ্ঘানিয়া বলেন, ইতিমধ্যে বাঁধে থাকা কয়েকশো দুর্গতকে রতুয়ার সূর্যাপুর ত্রাণ শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অন্যদের যাওয়ার অনুরোধ করা হচ্ছে। তাঁদের স্থায়ী বাসস্থানের জন্য জায়গা খোঁজার কাজ চলছে। রিং বাঁধেই বসবাস করছেন ভূতনির দুর্গতরা।-নিজস্ব চিত্র