• কৌশিকী অমাবস্যায় গৌড়বঙ্গে মন্দিরে মন্দিরে ভক্তের ঢল
    বর্তমান | ২৩ আগস্ট ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি ও সংবাদদাতা: কৌশিকী অমাবস্যায় রায়গঞ্জের বন্দর কালীবাড়ি, মালদহের বিভিন্ন তারা মায়ের মন্দির এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের বোল্লাকালী মন্দিরে বিশেষ পুজো হল। শুক্রবার সকার থেকে রাত পর্যন্ত মন্দিরে মন্দিরে ভক্তের ঢল নামে। 

    কথিত আছে, এক সময় কোনও এক পাঞ্জাবী সাধু রায়গঞ্জ শহরের বন্দর কালীবাড়ির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কারও মতে কুলিক নদীপথে বাণিজ্য করতে আসা বণিকরা কালীবাড়িটি তৈরি করিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, মন্দির প্রতিষ্ঠার পর স্বপ্নাদেশ পেয়ে সাধক বামাক্ষ্যাপার বংশধরেরা এসে বন্দর কালীবাড়িতে মা কালীর পুজো শুরু করেন। তারপর থেকেই শতাব্দীপ্রাচীন কালীবাড়িটিতে শুরু নিত্য পূজার্চনা। শুক্রবার কৌশিকী অমাবস্যায় সেই মন্দিরেই সাড়ম্বরে পূজিত হলেন মা কালী। ভোগ হিসেবে শোল, বোয়াল, পোলাও, খিচুড়ি, পায়েস, লুচি, মিষ্টান্ন নিবেদন করা হয়। পঞ্চমুণ্ডির আসনে স্থাপিত মায়ের কষ্টি পাথরের মূর্তির এখনও প্রাচীন রীতিনীতি মেনেই তন্ত্রমতে পুজো হয়। প্রতিবছর তারাপীঠ থেকে আসেন পুরোহিত। এদিন দুপুরের পর হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয় পুজো প্রাঙ্গণে। পুজো উপলক্ষ্যে আজও চালু আছে বলি প্রথা। বন্দর কালীবাড়ির পরিচালনা কমিটির অন্যতম দুই সদস্য প্রদীপ কল্যাণী, রূপেশ সাহারা বলেন, আনুমানিক ৫০০ বছর পুরনো এই মন্দির। তবে মা কালীর প্রতিষ্ঠা হয়েছে ২১৬ বছর আগে। মায়ের কষ্টি পাথরের মূর্তি এসেছিল রাজস্থান থেকে। তারাপীঠে যে নিয়মে পুজো হয়, সেভাবে এখানেও মায়ের পুজো হয়। মালদহে একাধিক তারামায়ের মন্দিরে পুজো হয়েছে। ইংলিশবাজার এবং গাজোলের কয়েকটি মন্দিরে ঘটা করে পুজো হয়।  সকাল থেকে মহিলারা উৎসাহের সঙ্গে পুজোর আয়োজন করেন। মহিলারা দল বেঁধে মহানন্দা থেকে জল ভরে আনেন। গাজোলে বিবেকানন্দ ক্লাবে  শুক্রবার মধ্যরাতে তারাপীঠের আদলে নিয়ম নিষ্ঠা সহকারে ষোড়শ উপাচারে পুজো হয়।  কৌশিকী অমাবস্যায় বালুরঘাটের বোল্লাকালী মন্দিরে ভক্তের ভিড় উপচে পড়ে। দুপুরের পর থেকে পুজো শুরু হয়। সন্ধ্যায় কৌশিকী অমাবস্যা উপলক্ষ্যে বিশেষ যজ্ঞ করা হয়। বোল্লা মন্দিরের পুজো কমিটির ম্যানেজার মানসরঞ্জন চৌধুরী ও অর্ঘ্য সরকার বলেন,  কৌশিকী অমাবস্যা উপলক্ষ্যে দুপুরে পুজো এবং সন্ধ্যায় যজ্ঞ হয়।
  • Link to this news (বর্তমান)