• ৭৬ বছরে দিনহাটার গোপালনগর শরণার্থী আর আর প্রাথমিক বিদ্যালয়, পরিকাঠামোর উন্নয়ন চায় স্কুল
    বর্তমান | ২৩ আগস্ট ২০২৫
  • রাজীব বর্মন, দেওয়ানহাট: স্কুল প্রতিষ্ঠার ছিয়াত্তর বছরে পড়ল দিনহাটার গোপালনগর শরণার্থী আর আর প্রাথমিক বিদ্যালয়। বৃহস্পতিবার স্কুল প্রাঙ্গণে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে প্ল্যাটিনাম জুবিলির অনুষ্ঠানের সূচনা করেন দিনহাটা পুরসভার চেয়ারম্যান অপর্ণা দে নন্দী। ছিলেন রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মন, কোচবিহার জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ চেয়ারম্যান রজত বর্মা, দিনহাটা পশ্চিম চক্র অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক ফ্লোরা দাস, সিতাই চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক পলাশ লালা। স্বাধীনতার পর পূর্ব পাকিস্থান থেকে প্রচুর শরণার্থী দিনহাটায় আসেন। তাঁদের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার জন্য ১৯৫০ সালের ২১ আগস্ট দিনহাটা শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের গোপালনগরে এই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি চালু করা হয়। 

    রাজ্যের অন্যান্য সরকারি প্রাথমিক স্কুলে যেখানে ক্রমশ পড়ুয়া কমছে, উল্টো ছবি গোপালনগরের এই স্কুলে। বর্তমানে পড়ুয়া প্রায় আটশো। শিক্ষক-শিক্ষিকা ১৫ জন। রয়েছে ডিজিটাল অ্যাটেনডেন্সের ব্যবস্থা। খুদে পড়ুয়াদের শেখানো হয় কম্পিউটার, অঙ্কন। বিভিন্ন বৃত্তিমূলক মেধা অন্বেষণ পরীক্ষার জন্য স্কুলেই দেওয়া হয় ছাত্রছাত্রীদের প্রশিক্ষণ। ক্লাসরুমের পাশাপাশি ক্যাম্পাস মুড়ে দেওয়া হয়েছে সিসি ক্যামেরায়। 

    এত কিছুর পরেও প্রাক্‌ প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত আটশো ছাত্রছাত্রীকে মাত্র আটটি ক্লাসরুমে গাদাগাদি করে বসতে হয়। সেগুলির অবস্থাও বেহাল। টিনের চাল দেওয়া ক্লাসরুমের পলেস্তারা খসে পড়ছে। শৌচালয় নেই বললেই চলে। নেই মিড ডে মিল খাওয়ার ডাইনিং হল। এমনকী স্কুলে টিচার্স রুমের অভাবে ছোট একটি ঘরেই ১৫ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা বসতে বাধ্য হচ্ছেন। বর্ষায় জল থইথই অবস্থা হয় ক্যাম্পাসে। অবিলম্বে পরিকাঠামো উন্নয়নের দাবিতে সরব অভিভাবকরা। 

    স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুব্রত নাহা বলেন, ঘরের অভাবে প্রায় ৮০০ পড়ুয়ার জন্য ঠিকমতো বসার ব্যবস্থা করতে পারি না। শৌচালয় নেই বললেই চলে। বৃষ্টিতে মাঠে জল জমে। পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কিন্তু সেভাবে সমাধান হয়নি। শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীকে সমস্যার কথা জানিয়েছি। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহকেও বলা হয়েছে। 

    এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান বলেন, এরকম ভালো স্কুল রাজ্যে গুটিকয়েক রয়েছে। স্কুলে প্রচুর ছাত্রছাত্রী। অনুষ্ঠানে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। তাঁকে জানানো হয়েছে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী সবটা জানেন। পরিকাঠামোর উন্নয়ন করে স্কুলকে কী করে আরও ভালো করা যায়, উপরমহলে আলোচনা করব।
  • Link to this news (বর্তমান)