নিজস্ব প্রতিনিধি, মেদিনীপুর: এক আদিবাসী যুবকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে শুক্রবারও উত্তাল হল ডেবরা। একদিকে ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি তন্ময় দাসের বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে বিক্ষোভ দেখাল আদিবাসী সমাজের মানুষ। অপরদিকে, এদিন বনধে্র সমর্থনে ডেবরা চক এলাকায় মিছিল করার সময় পুলিস আটক করে বিজেপির জেলা সভাপতি সহ কয়েকজন নেতাকর্মীকে। আদিবাসী সমাজের মানুষের একাংশের দাবি, বিজেপি ইচ্ছাকৃতভাবে রাজনীতি করছে। অপরদিকে বিজেপির দাবি, শনিবার ৬ ঘণ্টার বনধ্ ডাকা হয়েছে। এতে ভয় পেয়েছে তৃণমূল।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ডাক্তার সোরেন (২৪) তাঁর বাড়ি ডেবরার অনন্তবাড়ে নিষিদ্ধ মদের ব্যবসা করতেন। গত ১৮ আগস্ট সোমবার ভোরে ব্যবসার কাজে পূর্ব মেদিনীপুরের দিকে যাচ্ছিলেন ডাক্তার। সেই সময়ে লোয়াদা এলাকায় আবগারি দপ্তর তাঁকে ধরে ফেলে। স্থানীয় প্রশাসনের একাংশের মতে, ধৃত যুবককে আটক করে বাইকে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেই সময় বাইক থেকে ঝাঁপ দেন ডাক্তার। যদিও মৃত যুবকের পরিবারের দাবি, বেধড়ক মারধর করায় মৃত্যু হয়েছে ডাক্তারের। এরপর বৃহস্পতিবার বিজেপির তরফে ডেবরা বিধানসভা এলাকায় ৬ ঘণ্টার বনধ্ ডাকা হয়। আজ, শনিবার ডেবরা ব্লক এলাকায় বনধ্ হবে বলে জানিয়েছে বিজেপির নেতাকর্মীরা।
এদিন সকালে বিজেপির জেলা সভাপতি তন্ময় দাস বলেন, তৃণমূল ভয় পেয়েছে। তাই বনধ্ রুখে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। ঘাটাল জেলা তৃণমূলের সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, বিজেপি এলাকায় হিংসা ছড়াতে চাইছে।