সংবাদদাতা, ঘাটাল: ঘাটাল মহকুমার শিল্পীদের দীর্ঘ প্রতীক্ষা এবার শেষ হতে চলেছে। কিছুদিনের মধ্যেই দাসপুরের ফরিদপুরে তৈরি গোল্ড হাবে সোনা-হীরের গয়না তৈরি শুরু হবে। সেই লক্ষ্যে শুক্রবার ওই গোল্ড হাব ‘অলঙ্কার ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড’কে হস্তান্তর করা হল। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সদস্য সৌমিত্র সিংহরায় বলেন, জেলা শিল্পকেন্দ্রের ম্যানেজার শুভেন্দু বিশ্বাস, দাসপুরের বিধায়ক মমতা ভুঁইয়া সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এদিন তিনতলা গোল্ড হাব হস্তান্তর করা হয়েছে। সমিতির তত্ত্বাবধানে খুব তাড়াতাড়ি কাজ আরম্ভ হবে।
ঘাটাল মহকুমার লক্ষাধিক যুবক জেলা তথা রাজ্যের বাইরে সোনার কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। চারবছর আগে ২০২০সালের ৬ অক্টোবর পশ্চিম মেদিনীপুর সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, স্বর্ণশিল্পীদের জন্য আধুনিক পরিকাঠামোযুক্ত গোল্ড হাব তৈরি করা হবে। তিনি ২০২৩সালের ১৬ফেব্রুয়ারি ফরিদপুরে ওই প্রকল্পের শিলান্যাস করেন। এরপরই সাততলা গোল্ড হাব তৈরির জন্য যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু হয়। এজন্য ৭কোটি ৮৬লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। তিনতলা অবধি নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। এবছর ২২এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রী ভার্চুয়ালি গোল্ড হাবের উদ্বোধন করেন।
সৌমিত্রবাবু বলেন, এই গোল্ড হাব শুধু একটি ভবন নয়। এটি প্রত্যেক শিল্পীর স্বপ্ন, আত্মসম্মান ও ভবিষ্যতের প্রতীক। এটি প্রমাণ করে দেয়, সঠিক স্বীকৃতি ও সহায়তা পেলে ঘাটালের মাটিতেও আন্তর্জাতিক মানের শিল্প গড়ে উঠতে পারে।
জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ আশিস হুদাইত বলেন, ১৯জন স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে নিয়ে ‘অলঙ্কার ইন্ডাস্ট্রিয়াল কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড’ নামে একটি সমবায় গঠিত হয়েছে। সমবায়ের প্রত্যেক সদস্যই স্বর্ণশিল্পী। তাঁরাই গোল্ড হাব পরিচালনা করবেন। হাবে সোনার গয়না তৈরি, আমদানি-রপ্তানির সমস্ত কাজের দায়িত্ব তাঁদের হাতেই থাকবে। এদিন ওই সমিতির হাতে হাবটি হস্তান্তরিত করা হয়।তবে সমবায়ের সম্পাদক বাদল পাল বলেন, শুধুমাত্র গোল্ড হাবের ভবনটি পেয়েছি। ভবনে আরও আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র, আসবাবপত্র তৈরি না করলে আমরা গোল্ড হাবটি চালু করতে পারব না। এনিয়ে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আমাদের প্রশাসনের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করতে হবে। তারপরই বলা যাবে, কবে হাব থেকে গয়না তৈরি শুরু করা হবে।-নিজস্ব চিত্র