• ডোমকলে বাড়িতে ঢুকে শাবল দিয়ে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
    বর্তমান | ২৩ আগস্ট ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: ডোমকলে পুরনো বিবাদের জেরে বাড়িতে ঢুকে শাবল দিয়ে পিটিয়ে এক ব্যক্তিকে খুনের ঘটনায় তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল। শুক্রবার মুর্শিদাবাদ জেলার তৃতীয় ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারক ওই ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত আজাবুল শেখ, সাজিবুল শেখ ও রেজাউল করিম মণ্ডলের আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন। ২০২০সালের ওই ঘটনায় মৃতের দাদার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস মামলা রুজু করেছিল।

    সরকারি আইনজীবী অতীন উপাধ্যায় ও সহকারী সরকারি আইনজীবী জিনারুল হক মামলার বিচারপ্রক্রিয়া তাড়াতাড়ি এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। তদন্তকারী আধিকারিক সুজিতকুমার সিংহও দোষীদের সর্বোচ্চ সাজা দেওয়াতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন।

    অতিরিক্ত পুলিস সুপার(লালবাগ) রাসপ্রীত সিং বলেন, ডোমকলে খুনের মামলায় বিচারক তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার তিনটি খুনের মামলাতেও সাজা শোনানো হয়েছিল। সেইসঙ্গে খড়গ্রামে জাল নোট উদ্ধারের মামলায় শুক্রবার সাজা শোনানো হয়েছে। এখন ৯২টি মামলায় ট্রায়াল মনিটর করা হচ্ছে। এজন্য  জেলা সদরে একটি পৃথক দল গঠন করা হয়েছে। এই দল প্রতিটি কেসের ট্রায়াল মনিটরিং করায় পরপর এত ঘটনায় সাজা শোনানো সম্ভব হচ্ছে। শুক্রবার পুলিস সুপারের অফিসে এই পাঁচটি মামলার সরকারি আইনজীবী ও তদন্তকারী আধিকারিকদের সংবর্ধিত করা হয়। পুলিস জানিয়েছে, পুরনো বিবাদের জেরে ২০২০সালের ৪জুলাই বেলা ১১টা নাগাদ ডোমকলের বাসিন্দা হায়দার আলির বাড়ির গ্রিল ভেঙে দুষ্কৃতীরা ভিতরে ঢোকে।  শাবল ও হাঁসুয়া দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করা হয়। হায়দার রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাঁর মা তাঁকে বাঁচাতে যান। তখন তাঁকেও শাবল দিয়ে পিটিয়ে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। এরপর মৃতের দাদা থানার দ্বারস্থ হন। গুরুতর জখম মা-ছেলেকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। কিন্তু হায়দারের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকায় তাঁকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। হায়দারের মা সুস্থ হলেও এখনও শয্যাশায়ী। সরকারি আইনজীবীরা জানান, এই মামলার গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রমাণ আদালতে দাখিল করা হয়েছিল। তা খতিয়ে দেখে বিচারক যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন। ঘটনার পাঁচবছরের মাথায় বিচারপ্রক্রিয়া শেষ করে সাজা ঘোষণা হল। অতিরিক্ত পুলিস সুপার মাজিদ ইকবাল খান বলেন, সমস্ত তদন্তকারী আধিকারিক ভালো কাজ করেছেন। আরও যে সমস্ত মামলার ট্রায়াল চলছে, সেগুলি তাড়াতাড়ি নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
  • Link to this news (বর্তমান)