নিজস্ব প্রতিনিধি, সিউড়ি: উৎপাদন বাড়াতে বীরভূম জেলা উদ্যান পালন দপ্তর বর্ষার মরশুমে পেঁয়াজ চাষে জোর দিয়েছে। তবে এই উদ্যোগে ভিলেন হয়েছে বৃষ্টি। অতিবর্ষণ খরিফ ও লেট খরিফ পেঁয়াজ চাষে বাধা সৃষ্টি করেছে। দপ্তরের তরফে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত বীজতলা তৈরির কাজ ১০০ শতাংশ শেষ করা যায়নি। আধিকারিক থেকে শুরু করে কৃষকদের দাবি, বৃষ্টির জেরে বেশকিছু ক্ষেত্রে জমির মাটি বীজতলার অনুপযুক্ত হয়ে উঠেছে। সকলেই বৃষ্টি থামার অপেক্ষায় রয়েছেন। জেলা উদ্যান পালন দপ্তরের আধিকারিক সুবিমল মণ্ডল বলেন, উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে খরিফ ও লেট খরিফ পেঁয়াজ চাষে বাড়তি নজর দেওয়া হয়েছে। নিশুল্ক বীজ পাওয়ার পর অনেকেই বীজতলা তৈরি করে নিয়েছেন। যদিও বেশকিছু ক্ষেত্রে এখনও বীজতলা তৈরি সম্ভব হয়নি। মূলত বৃষ্টির জেরেই এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বৃষ্টি না কমা পর্যন্ত অপেক্ষা করা ছাড়া কোনও উপায় নেই। তাঁর আরও সংযোজন, বর্ষার মরশুমে পেঁয়াজ চাষের ক্ষেত্রে বীজতলা তৈরির পর তা ঢেকে রাখা আবশ্যিক। অন্যথায় বৃষ্টির জেরে বীজতলার ক্ষতি হতে পারে। বর্ষার মরশুমে আচমকাই পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি মোকাবিলা করতে খরিফ ও লেট খরিফ পেঁয়াজ চাষে জোর দেওয়া হয়েছে। চলতি মরশুমে জেলায় মোট ৬০০ বিঘা উঁচু জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। পরবর্তীতে ক্লাস্টার ভিত্তিতে বিঘা প্রতি জমির জন্য ১ কেজি করে বীজ বিনামূল্যে কৃষকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এরপরই কৃষকরা বীজতলা তৈরিতে মন দিয়েছেন। দপ্তরের তরফে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৫০০ বিঘা জমির জন্য বীজতলা তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। যদিও বৃষ্টির জেরে বাকি ১০০ বিঘা জমির জন্য বীজতলা তৈরির কাজ আটকে রয়েছে। দপ্তরের আধিকারিকদের কথায়, বীজতলার জন্য জমিতে ৪০ শতাংশ জল থাকা প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে বীজতলা তৈরির জন্য ‹জো আসা› সহজ হয়। তবে, কোনও কারণে জলের পরিমাণ বেড়ে গেলে বীজতলা তৈরিতে সমস্যা দেখা দেয়। খয়রাশোল ব্লকের কৃষক সজল মণ্ডল বলেন, ক্লাস্টার ভিত্তিতে পেঁয়াজ চাষ শুরু করেছি। কিছু ক্ষেত্রে বীজতলা তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। তবে, বৃষ্টি জন্য এখনও বেশকিছু বীজতলা তৈরি করা সম্ভব হয়নি।