• ফের ঠিকা-প্রজা সার্টিফিকেট বিলি শুরু, ভালো সাড়া না মেলায় আরও প্রচার চান মেয়র
    বর্তমান | ২৩ আগস্ট ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: প্রায় ১০ বছর পর ফের ঠিকা-প্রজার স্বীকৃতি অর্থাৎ ঠিকা-প্রজা সার্টিফিকেট দেওয়া শুরু করল কলকাতা পুরসভা। শুক্রবার ২৭ জন আবেদনকারীর হাতে শংসাপত্র তুলে দেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ছ’মাস সময়সীমার মধ্যে এই প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। ইতিমধ্যে আড়াই মাস শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু পুরসভা সূত্রে খবর, সেভাবে সাড়া মিলছে না। ঠিকা জমির প্রজাস্বত্ব চেয়ে খুব কম আবেদন জমা পড়েছে। তাই এ ব্যাপারে আরও প্রচার চাইছেন মেয়র। স্থানীয় কাউন্সিলারদের এক্ষেত্রে আরও সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে বলে ঠিক হয়েছে। 

    জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালের নভেম্বর মাস থেকে ঠিকা-প্রজা শংসাপত্র দেওয়া বন্ধ করেছিল রাজ্য। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে বহু আবেদন আসছিল। এই পরিস্থিতিতে ঠিকা-প্রজার তালিকায় নতুন নাম তোলার জন্য রাজ্য মন্ত্রিসভা সম্মতি দেয়। এর জন্য বিশেষভাবে উদ্যোগী হয়েছিলেন মেয়র স্বয়ং। গত ২ জুন থেকে সেই ফর্ম বিলি শুরু হয়েছে। কলকাতার ১ থেকে ১০০ নম্বর ওয়ার্ডের ঠিকা-প্রজারা আবেদন করতে পারছেন। এর জন্য পূরণ করতে হচ্ছে একটি নির্দিষ্ট আবেদনপত্র। তার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা করতে হচ্ছে। সব খতিয়ে দেখার পর দেওয়া হচ্ছে সার্টিফিকেট। এক অফিসার বলেন, ‘এটাকে সরকারি পরিভাষায় রিটার্ন বলা হয়। এতদিন তাঁরা ঠিকা জমিতে থাকলেও কোনও আইনি স্বীকৃতি ছিল না। বিভিন্ন ধরনের সরকারি পরিষেবা পেতে গেলে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছিলেন। এবার রিটার্ন জমা করে আবেদনকারীরা ঠিকা-প্রজা শংসাপত্র হাতে পাচ্ছেন। এর ভিত্তিতেই এবার থেকে তাঁরা সরকারকে গ্রাউন্ড রেন্ট বা জমির ভাড়া দেবেন। বাড়ির মিউটেশন, অ্যাসেসমেন্ট করাতে পারবেন। প্রয়োজনে পুরনো বাড়ি ভেঙে নতুন বাড়ি করার অনুমোদনও পাবেন।’  প্রসঙ্গত, ঠিকা-প্রজার শংসাপত্র পেতে যাতে সংশ্লিষ্ট সবাই আগ্রহ দেখান, তার জন্য টাউন হলে কাউন্সিলারদের নিয়ে বৈঠক করেছিলেন মেয়র। এলাকায় লিফলেট বিলি করতে বলা হয়েছিল। তারপরেও সাড়া মেলেনি। সূত্রের খবর, মাত্র ১৩০০টি আবেদন জমা পড়েছে। এক অফিসার বলেন, ‘৬ মাস সময়সীমার আর চার মাসও বাকি নেই। আমাদের ধারণা ছিল, অন্তত ১০ হাজার আবেদন আসবে। কিন্তু সেটা এখনও হয়নি। তাই এবার তৃণমূল স্তরে গিয়ে প্রচার আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। মেয়রও চাইছেন, কাউন্সিলাররা আরও সক্রিয় হন। কারণ, এই সময়সীমা শেষ হয়ে গেলে এরপর আবার সুযোগ কবে আসবে, বলা মুশকিল।’ ঠিকা-প্রজার সার্টিফিকেট হাতে থাকলে নাগরিকরা যেমন উপকৃত হবেন, তেমনই জমির ভাড়া কিংবা মিউটেশন, অ্যাসেসমেন্ট বাবদ পুরসভার আয়ও বাড়বে বলে আশাবাদী আধিকারিকরা।  
  • Link to this news (বর্তমান)