• বন্ধ জেসপ নিয়ে চুপ, দমদমের সভায় বিনিয়োগ ও শিল্পের স্বপ্ন ফেরি মোদির
    বর্তমান | ২৩ আগস্ট ২০২৫
  • বিশ্বজিৎ মাইতি, দমদম: প্রায় দেড় দশক বন্ধ জেসপ কারখানা। হাহাকার করছেন শ্রমিকরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শ্রমিকদের জন্য মানবিক ভাতা ও ইএসআইয়ের সুবিধা দিয়েছেন। সেই সঙ্গে পুনরুজ্জীবনের লক্ষ্যে জেসপ অধিগ্রহণ বিলও এনেছেন তিনি। কিন্তু প্রায় এক দশক ধরে রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের অপেক্ষায় পড়ে রয়েছে সেই বিল। শুক্রবার বন্ধ জেসপ কারখানার অদূরেই ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনসভা। সেখানে তিনি জেসপ নিয়ে একটি শব্দ খরচ না করলেও দমদমকে ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল হাব’ হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন ফেরি করতে ভোলেননি। প্রধানমন্ত্রীর বার্তা, ‘আমি চাই, এখানে ইলেকট্রিক গাড়ির জন্য প্রয়োজনীয় বিপুল পরিকাঠামো তৈরি হোক। এখানে প্রচুর বিনিয়োগ আসুক। যুবকরা কাজ পাক।’

    বারাকপুর মহকুমায় একাধিক কেন্দ্রীয় সরকারি কারখানা বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। এদিন দমদমে বন্ধ জেসপ কারখানার পাশ দিয়েই গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কনভয়। সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিজেপিকে একবার সুযোগ দিন। বন্ধ হয়ে থাকা কারখানা নতুন করে খুলবে। নতুন কারখানা তৈরি হবে। নতুন নতুন বিনিয়োগ আসবে। দমদম ফের ইন্ডাস্ট্রি হাব হবে। বিকশিত বাংলা মোদির গ্যারান্টি। বিজেপির কাছে এই রাজ্যের উন্নয়নের নতুন রোড ম্যাপ রয়েছে। তৃণমূল  উন্নয়নের শত্রু।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখানকার শহরের কী অবস্থা! দেশের সমস্ত শহরের বিকাশ ও পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য স্মার্ট সিটি মিশন চলছে। কিন্তু তৃণমূল সরকার এই মিশনে যোগ দেবে না বলে জানিয়েছে। মানুষের অসুবিধা হলেও তাঁদের কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই। তাঁরা বিজেপিকে রুখতে উন্নয়ন আটকে দিচ্ছে। এখানে একবার বিজেপিকে সুযোগ দিয়ে দেখুন। বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় এলে রেল ও 

    মেট্রোর দ্রুত বিকাশ হবে।’ এভাবে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার করলেও জেসপ নিয়ে নির্দিষ্ট কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি মোদির ভাষণে। এদিন প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন জেসপ কোম্পানি লিমিটেড ওয়ার্কার্স অ্যান্ড এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সদস্যরা। সংগঠনের সম্পাদক শ্রীকুমার বন্দ্যেপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা খুব আশা করেছিলাম, প্রধানমন্ত্রী যখন এখানে আসছেন, জেসপ নিয়ে নিশ্চয়ই কিছু বলবেন। রাজ্যের জেসপ অধিগ্রহণ বিল পাশের দাবিতে আমরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে গিয়েও চিঠি দিয়েছি। কোনও লাভ হয়নি। আজ তিনি নতুন শিল্পের কথা বলছেন। অথচ জাতীয় সম্পত্তি জেসপ যে ধ্বংস হচ্ছে, সেদিকে নজর নেই—এটা দুর্ভাগ্যজনক।’   
  • Link to this news (বর্তমান)