• ছাদ ফেটে পড়ছে বৃষ্টির জল, বিধানগড় ডাকঘরের বেহাল দশায় নাকাল গ্রাহক
    বর্তমান | ২৩ আগস্ট ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বজবজ:  মহেশতলা পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ৬০ বছরের পুরনো বিধানগড় ডাকঘরের ভগ্নদশা। যেখানে সেখানে ছাদ থেকে পলেস্তারা খসে পড়ছে। ক’দিনের টানা বৃষ্টিতে ছাদ ফেটে জল পড়ছে কয়েকটি জায়গায়। ডাকঘরের মেঝে কার্যত জলমগ্ন হয়ে থাকছে। এই পরিস্থিতিতে গত তিনদিন ধরে ডাকঘরের কাজকর্ম বন্ধ রাখতে হয়েছে। আর তার ফলে প্রবীণ গ্রাহকরা বিস্তর ঝামেলায় পড়ছেন। টাকা জমা থেকে পেনশন তোলা—কোনও কাজই করতে পারছেন না তাঁরা।  ডাকঘরের পোস্টমাস্টার সঞ্জয় মিত্র বলেন, ‘লাগাতার বৃষ্টির ফলেই পুরনো বাড়ির পলেস্তারা খসে গিয়ে ছাদ থেকে জল পড়ছে।  প্লাস্টিক দিয়েও আটকানো যাচ্ছে না। বাধ্য হয়ে কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছে। বৃষ্টি কমার আগে কাজ শুরু করলে মেশিন খারাপ হয়ে যাবে। এর আগে এই কারণে দু’টি কম্পিউটার খারাপ হয়েছে। তাছাড়া, ভেজা পায়ে সব সময় কাজ করতে হয়। বিদ্যুতের তার ভিজে শট সার্কিটের আশঙ্কাও রয়েছে। শিয়রে বিপদ নিয়েই কাজ করতে হচ্ছে আমাদের।’ 

    মহেশতলা পুরসভার ১ থেকে ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বিস্তীর্ণ এলাকার কয়েক হাজার মানুষ এই ডাকঘরের গ্রাহক। এফডি, মাসিক পেনশন প্রকল্প ও নানাবিধ সেভিংস স্মিম রয়েছে তাঁদের। এই গ্রাহকরা বিষয়টি লিখিতভাবে মহেশতলা পুরসভা এবং রবীন্দ্রনগর থানাকে জানিয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি দোতলা বাড়ির একতলা ভাড়া নিয়ে চলে ডাকঘরটি। বাড়িওয়ালা এক প্রোমোটারকে বাড়িটি বিক্রি করে দিয়েছেন। সেই প্রোমোটার এখন দোতলার অংশ ভাঙছেন। তাতেই একতলার ছাদে ফাটল হয়ে জল পড়ছে। মহেশতলা পুরসভার সিআইসি (বিল্ডিং) তাপস হালদার বলেন, ‘ওই প্রোমোটারকে বিল্ডিং ভাঙা বন্ধ করার জন্য নোটিস দেওয়া হয়েছে।’ পোস্টমাস্টার সঞ্জয় মিত্র বলেন, ‘বাড়ি ভাঙার জন্য এমন হচ্ছে, তা নজরে  আসেনি। তবে  সার্বিক পরিস্থিতি উপরমহলকে জানিয়েছি ছবি সহ। তারা সরেজমিনে পরিস্থিতি দেখে গিয়েছে। বিকল্প জায়গার খোঁজ চলছে।’  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)