সুপ্রিম নির্দেশ মাত্রই জয়েন্টের ফল, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে দাপট কলকাতার, প্রকাশ কলেজের মেধা তালিকাও
বর্তমান | ২৩ আগস্ট ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ওবিসি সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্ট শুক্রবার হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দিতেই মিটল সমস্যা। এদিনই প্রকাশ করে দেওয়া হল রাজ্য ইঞ্জিনিয়ারিং জয়েন্টের ফল এবং সাধারণ ডিগ্রি কলেজে ভর্তির মেধা তালিকা। জয়েন্টের প্রথম দশ মেধা তালিকায় একজন বাদে প্রত্যেকেই বাঙালি। প্রথম হয়েছেন পার্ক সার্কাস ডন বসকো স্কুলের ছাত্র অনিরুদ্ধ চক্রবর্তী। তালিকার চারজনই নিউটাউন সহ কলকাতার বিভিন্ন স্কুলের। উত্তীর্ণদের শুভেচ্ছা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, ‘আইনি জটিলতায় ফল প্রকাশে তুলনায় কিছুটা দেরি হল।’ পাশাপাশি, ২৫ আগস্টের মধ্যে কলেজে প্রথম দফার ভর্তি এবং ২৭ আগস্টের মধ্যে ফিজিক্যাল ভেরিফিকেশন শেষ করে ২৯ আগস্টের মধ্যে ক্লাস শুরু করে দেওয়া হচ্ছে। এবার কিছুটা দেরি হওয়ায় রেকর্ড দ্রুততায় ক্লাস শুরুর উদ্যোগ নিচ্ছে উচ্চশিক্ষা দপ্তর।
এবছর ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্কিটেকচার এবং ফার্মেসি মিলিয়ে ১ লক্ষ ১ হাজার ৬৪৩ জন পরীক্ষার্থী জয়েন্ট দিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে ২৩ হাজার ৮৫০ জন ভিন রাজ্যের। মোট সফল প্রার্থীর সংখ্যা ১ লক্ষ ৫০২। জয়েন্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের ছাত্রছাত্রী ছিলেন ৫০ শতাংশের কিছু বেশি। তাঁদের মধ্যে ৯৬.৬৪ শতাংশ সফল। রাজ্যের বাসিন্দাদের মধ্যে সাফল্যের হার ৯৮.৬৮ শতাংশ। তবে প্রথম দশে থাকা মাত্র তিনজন রাজ্য সরকারি স্কুলের পড়ুয়া। বাকিরা অন্যান্য সর্বভারতীয় বোর্ডের স্কুলের। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন, ৯টি সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ১টি কেন্দ্রীয় সরকার পোষিত সেলফ ফিনান্সিং কলেজ, ৫৮টি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং এবং আর্কিটেকচার কলেজ, একটি সরকারি এবং ২৪টি বেসরকারি ফার্মেসি কলেজে ভর্তির জন্য কাউন্সেলিংয়ে অংশ নেবেন জয়েন্টে সফল ছাত্রছাত্রীরা। সেই সঙ্গে ১৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ৪৬০টি জেনারেল ডিগ্রি কলেজের ৭,২৩২টি বিষয়ের ৪ লক্ষ ২ হাজার ৫৫৭টি আসনে ভর্তির প্রক্রিয়া চলবে। প্রথম পর্যায়ে যোগ্য আবেদনকারী রয়েছেন ৩,০৯,৬৬৭ জন। নম্বর কম থাকায় প্রথম পর্যায়ে ডাক পাননি প্রায় ৪০ হাজার ছাত্রছাত্রী। তাঁরা পরবর্তী ধাপে সুযোগ পাবেন।
প্রসঙ্গত, জয়েন্টে ২০১০ সালের নিয়ম মেনে ওবিসি সংরক্ষণ দেওয়ার জন্য হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল। এদিন সুপ্রিম কোর্টে এর বিরুদ্ধে রাজ্যের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী কপিল সিবাল এবং কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁরা ভর্তিতে দেরির বিষয়টি দেশের প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাই এবং বিচারপতি কে বিনোদ চন্দ্রনের বেঞ্চে তুলে ধরেন। শেষ পর্যন্ত জয়েন্ট নিয়ে হাইকোর্টের রায়ে তাঁরা স্থগিতাদেশ দেন। আগামী সোমবার এবং ৯ সেপ্টেম্বর ওবিসি সংক্রান্ত পৃথক দু’টি মামলার শুনানি রয়েছে।