• পাঁচ মাস পরও নিখোঁজ তরুণীর হদিশ মেলেনি! বারুইপুর থানার ওসিকে হাজিরার নির্দেশ
    বর্তমান | ২৩ আগস্ট ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: পাঁচ মাস কেটে গেলেও নিখোঁজ এক তরুণীকে উদ্ধারে কোনও সদর্থক পদক্ষেপ করেনি পুলিস। যার জেরে যারপরনাই ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্ট এবার সরাসরি বারুইপুর থানার ওসিকে ডেকে পাঠিয়েছে। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি ঋতব্রত কুমার মিত্রর ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, হাইকোর্টে জানানো হয়েছিল নিখোঁজ তরুণীকে উদ্ধারে যথাযথ পদক্ষেপ করবে পুলিস। তাসত্ত্বেও কাগুজে তদন্ত ছাড়া কিছুই করেনি পুলিস। কেন তদন্তে এহেন গাফিলতি, তার জবাব দিতে ওসিকে সশরীরে আদালতে হাজির হতে হবে। 

    ঘটনা হল, গত ২৯ মার্চ বিকেলে টিউশন পড়তে গিয়েছিলেন বারুইপুর থানা এলাকার পিয়ালির বাসিন্দা ওই তরুণী। তিনি চম্পাহাটি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। তারপর আর বাড়ি ফেরেনি তিনি। ঘটনার দিনই বারুইপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জানান তরুণীর বাবা-মা। তারপর বেশ কিছুদিন পেরিয়ে যাওয়ার পরও মেয়ের খোঁজ না মেলায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁরা। তাঁদের সন্দেহ, মেয়ে পাচার হয়ে গিয়েছে। কারণ তাঁরা এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, কিছুদিন আগে পিয়ালির নতুনপল্লি এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন প্রশান্ত বর্ধন নামের এক ব্যক্তি। মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে ওই ব্যক্তিও বেপাত্তা। এলাকায় খোঁজ নিয়ে তাঁরা জানতে পারেন, ওই ব্যক্তির নাগরিকত্ব নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। ফলে তরুণীর বাবা-মার সন্দেহ, মেয়ে পাচার হয়ে গিয়েছে। যাবতীয় তথ্য পুলিসকে জানানো সত্ত্বেও কোনও সুরাহা হয়নি। 

    বিচারপতি চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানিতে তরুণীর পরিবারের আইনজীবী শোভন বেরা অভিযোগ করেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি বাংলাদেশি হতে পারেন। এসব সত্ত্বেও তরুণীকে খুঁজে বের করতে পুলিস কেন সদর্থক পদক্ষেপ করছে না? পুলিসের দাবি ছিল, তরুণীকে খুঁজে বের করতে যাবতীয় পদক্ষেপ করা হবে। কিন্তু বাস্তবে পুলিস কোনও তদন্তই করেনি। ডিভিশন বেঞ্চে তারা জানায়, শিলিগুড়ির পানিট্যাঙ্কি এলাকায় তল্লাশি চালানো হলেও তরুণীর খোঁজ মেলেনি। পুলিসের এই যুক্তিতে অসন্তুষ্ট হাইকোর্ট বারুইপুর থানার ওসিকে ১০ সেপ্টেম্বর সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)