• জলপাইগুড়িতে ডায়নোসরের ডিম! আলোড়ন জেলাজুড়ে, ভিড় জমাচ্ছেন আট থেকে আশি
    প্রতিদিন | ২৩ আগস্ট ২০২৫
  • শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: ডায়নোসরের ডিম! এও আবার পাওয়া যায় নাকি! তাও আবার কিনা জলপাইগুড়িতে। শুনতে অনেকটা ‘ঘোড়ার ডিমে’র মতো অবাস্তব লাগলেও এটাই সত্যি। চোখের সামনে সেই ডায়নোসরের ডিম দেখতে উপচে পড়ছে ভিড়। না কোনও, মাটি দিয়ে তৈরি ডিম বা পুজোর থিম নয়। একেবারে সত্যিকারের ডায়নোসরের ডিম চাক্ষুষ করছেন জলপাইগুড়ির বাসিন্দারা।

    জলপাইগুড়ি সায়েন্স অ্যান্ড নেচার ক্লাবের মিউজিয়ামে রাখা হয়েছে সেই ডিম। আর তা দেখতেই উপচে পড়ছে ভিড়। বিজ্ঞানীদের দাবি, জলপাইগুড়িতে যে ডিম আনা হয়েছে, সেটি ‘টাইট্যানো সাওরাস’ প্রজাতির ডাইনোসরের। যাদের অস্তিত্ব ছিল ১৩৫ মিলিয়ন বছর আগে। প্রতি রবিবার সন্ধ্যায় সেই ডিম দেখতে জলপাইগুড়ি সায়েন্স অ্যান্ড নেচার ক্লাবের মিউজিয়ামে ভিড় জমাচ্ছেন ছাত্রছাত্রীরা। চোখের সামনে ডায়নোসরের ডিম দেখার সুযোগ ছাড়ছেন না জেলার প্রবীণ মানুষরাও। ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে তাঁরাও সাক্ষী থাকছেন ‘টাইট্যানো সাওরাস’ প্রজাতির ডাইনোসরের ডিম দেখার।

    জলপাইগুড়ি সায়েন্স অ্যান্ড নেচার ক্লাবের সম্পাদক রাজা রাউত জানান,”ডাইনোসরের ডিম ছাড়াও বিলুপ্ত ওই প্রাণীর হাড়গোড় রয়েছে জলপাইগুড়ি সায়েন্স অ্যান্ড নেচার ক্লাবের মিউজিয়ামে।” তবে আগামিদিনে হারিয়ে যাওয়া কিংবা লুপ্তপ্রায় প্রাণী, জীবাশ্ম সংগ্রহ করাই তাঁদের লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন রাজা রাউত। 

    তাঁর কথায়, ”আমরা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হারিয়ে যাওয়া কিংবা লুপ্তপ্রায় প্রাণী, জীবাশ্ম সংগ্রহের চেষ্টা করে চলেছি। সেগুলিকে যথাযথ সংরক্ষণের পাশাপাশি সেসব নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে প্রচার চালানো হবে।”

    তবে ডিম দেখতে যেভাবে জেলার আট থেকে আশি ভিড় জমাচ্ছেন তাতে উচ্ছ্বসিত রাজা। তাঁর দাবি, ”ডাইনোসরের ডিম আসার পর থেকে মিউজিয়ামে ভিড় বেড়েছে। ছাত্রছাত্রীদের পাশাপাশি আমজনতাও ওই ডিম দেখতে আসছেন। রবিবার সন্ধ্যায় মিউজিয়াম খুলতেই ভিড় জমে যায়।” তবে জলপাইগুড়ি সায়েন্স অ্যান্ড নেচার ক্লাবের সম্পাদকের আক্ষেপ, ”তাঁদের কাছে আরও অনেক দুর্লভ সামগ্রী রয়েছে। কিন্তু জায়গার অভাবে সবটা আমরা ঠিকমতো প্রদর্শিত করা যাচ্ছে না।” 
  • Link to this news (প্রতিদিন)