• ডুরান্ড আয়োজকদের নৈশভোজে গেলেন না ইস্টবেঙ্গল কর্তারা, আমন্ত্রণ জানানোর পদ্ধতিতে খুশি নয় লাল-হলুদ
    আনন্দবাজার | ২৩ আগস্ট ২০২৫
  • ডুরান্ড কাপ ফাইনালের আগের দিন, শুক্রবার বাইপাসের ধারের এক হোটেলে নৈশভোজের আয়োজন করেছিলেন আয়োজকেরা। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন না ইস্টবেঙ্গলের কোনও প্রতিনিধি। আমন্ত্রণ জানানোর পদ্ধতিতে খুশি নন লাল-হলুদ কর্তারা। তাই নৈশভোজে কেউ যাননি।

    প্রতি বারই ডুরান্ড ফাইনালের আগের দিন বিভিন্ন ক্লাবের প্রতিনিধি এবং সেনাবাহিনির কর্তাদের নিয়ে নৈশভোজ আয়োজন করা হয়। এ বার নৈশভোজে ইস্টবেঙ্গলের না-যাওয়ার কারণ অন্য। কর্তা দেবব্রত (নীতু) সরকার বললেন, “আমার কাছে নৈশভোজের আমন্ত্রণ ছিল। তবে স্রেফ হোয়াট্‌সঅ্যাপ করা হয়েছিল। আর কিছু জানানো হয়নি। এ ভাবে আমন্ত্রণ জানানোয় আমি বিশ্বাসী নই। তাই নৈশভোজে যাইনি।”

    অনেকেই মনে করছেন, ডুরান্ডের সেমিফাইনালে খারাপ রেফারিংয়ের প্রতিবাদে নৈশভোজ বয়কট করেছে ইস্টবেঙ্গল। তবে দেবব্রত বলেছেন, “খারাপ রেফারিংয়ের সঙ্গে নৈশভোজে না-যাওয়ার সম্পর্ক নেই। খারাপ রেফারিংয়ের প্রতিবাদ আমরা আগেও বার বার করেছি। আগামী দিনে আবার করব।”

    উল্লেখ্য, ফেব্রুয়ারিতে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পরেও যে ভাবে তাদের সঙ্গে রেফারিং নিয়ে অবিচার চলছে তা নিয়ে ক্ষুব্ধ ইস্টবেঙ্গল। ডুরান্ডের সেমিফাইনালে ডায়মন্ড হারবারের বিরুদ্ধে রেফারি হরিশ কুন্ডুর ভুল সিদ্ধান্ত কেউ মেনে নিতে পারছেন না। ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে অতীতে বার বার ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া সত্ত্বেও লাল-হলুদের ম্যাচে কেন হরিশকেই ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয় তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

    ডুরান্ডের সেমিফাইনালের তিনটে ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে। তিনটে ক্ষেত্রে পেনাল্টি দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। ডায়মন্ড হারবারের দ্বিতীয় গোলের ক্ষেত্রে লুকা মায়চেনের হাতে বল লাগলেও তা রেফারি উপেক্ষা করেছেন বলে আলোচনা হয়েছে দলের অন্দরমহলে।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)