• ৩ মাস ধরে বাঁকুড়া শহরে জমা জলে বিপর্যস্ত জনজীবন, আতঙ্কে এলাকাবাসী
    এই সময় | ২৩ আগস্ট ২০২৫
  • প্রায় তিন মাস ধরে হাঁটু সমান জল। সেই জল পেরিয়েই এতদিন কোনও রকমে যাতায়াত করতেন এলাকার বাসিন্দারা। কিন্তু বর্তমানে নিম্নচাপের জেরে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। বৃষ্টিতে জমে থাকা জলের উচ্চতা আরও বেড়ে গিয়ে এ বার এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে জল ঢুকতে শুরু করেছে। জল যন্ত্রণায় দুর্ভোগে পড়েছেন বাঁকুড়া শহরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের নন্দী খাল পাড়ের বাসিন্দারা। আর এ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা পুরসভার উপরে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।

    অভিযোগ, রেল ও পুরসভার টানাপড়েনে দীর্ঘদিন ধরেই এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা আটকে রয়েছে। বাঁকুড়া শহরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের নন্দী খাল পাড় এলাকা এমনিতেই নিচু। এই এলাকার বহু পুরো+নো একটি নিকাশি নালা দিয়ে বাঁকুড়া শহরের বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে জল যায় দ্বারকেশ্বর নদের দিকে। এলাকার জলও ওই নিকাশি নালা দিয়েই বয়ে যায় নদের দিকে। স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে নিকাশি নালা সংস্কার ও পরিষ্কার করা হয় না। এ দিকে, রেলের আন্ডারপাস তৈরি করতে গিয়ে নিকাশি নালার একাংশও ভেঙে গিয়েছে। এই দুই কারণে শুধু ১৮ নম্বরই নয়, আশপাশের ওয়ার্ডগুলি থেকে যে জল আসছে, তাও সেখানে জমতে শুরু করেছে।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে গত তিন মাসে বাইরের কেউ এলাকায় যাতায়াত করতে পারছেন না। জল জমে থাকায় বিভিন্ন অসুখ ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করছে ওই এলাকার প্রায় ৫০টি পরিবার। স্থানীয়দের দাবি, বিষয়টি নিয়ে বারবার পুরসভার কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। কিন্তু জল নিকাশির ব্যাপারে পুরসভা কোনও উদ্যোগ নেয়নি বলে অভিযোগ।

    এ দিকে বাঁকুড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান হিরণ চট্টরাজ বলেছেন, ‘আমরা এই বিষয়ে কোনও অভিযোগ পাইনি। কারও কোনও অভিযোগ থাকলে স্থানীয় কাউন্সিলার ও আমাদের কাছে এসে বলতে হবে। আমরা নিশ্চয়ই তার ব্যবস্থা করব। অভিযোগ পেলেই আমরা এ বিষয়ে রেলকে চিঠি পাঠাব।’ এ দিকে বিজেপির দাবি, পুরসভার গাফিলাতির জন্যই এলাকার মানুষকে দুর্ভোগ পোয়াতে হয়েছে।

  • Link to this news (এই সময়)